ধর্মপাশায় পানিবন্দি মানুষের পাশে এমপি রতন
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।বন্যার কারণে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ২০ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।বসতঘরে পানি ওঠায় ১৫০টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বন্যা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে। বিছিন্ন রয়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ ব্যবস্থা।অনেকের রান্না ঘরে পানি ওঠায় রান্নাবান্না নিয়ে পড়তে হয়েছে বিপাকে।এছাড়াও মধ্যনগর বাজার,জয়শ্রী বাজার,বংশীকুন্ডা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজার গুলোতে পানি ওঠায় বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ দোকানপাট। এসব পানিবন্দি মানুষ গুলোর খাদ্য সমস্যা মেটাতে রোববার ধর্মপাশা
উপজেলার চাপাইতি, বিশারা, সাজদাপুর, হিজলাসহ বিভিন্ন গ্রামে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস প্রমুখ।এদিকে সেলবরষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নূর হোসেন তাঁর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক বন্যা দূর্গত মানুষের মাঝেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।
ধর্মপাশা উপজেলা ইমারত নির্মাণ শ্রমিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শওকত আলী বলেন, মহামারী করোনার কারণে আমাদের কোনো কাজকর্ম নেই। অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করছি। এর মধ্যে আবার দেখা দিয়েছে বন্যা। আমরা এখন কোন দিকে যাই। তাই প্রশাসনের কাছে দাবী আমাদের যেন সহায়তা করা হয়।ধর্মপাশা সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা সুমন চন্দ্র দাস বলেন, আমার ঘরের চারদিকে বন্যর পানি। রান্নাবান্না করতে গিয়ে মহিলারা পড়ছে বিপাকে।জয়শ্রী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় চৌধুরী বলেন, জয়শ্রী,বরই বাজারসহ ইউনিয়নের সবটি বাজারে বন্যার পানি ওঠায় বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। আমার ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়েছে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষের খাদ্য সহায়তায় খিচুড়ি, চিড়া, বিস্কিটসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।