ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বাড়াতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) জারি করা এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইসলাম মানব জাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অজ্ঞতা-অন্ধকার ও ভয়-ভীতিপূর্ণ সমাজ থেকে সমস্ত ভয়, অস্থিরতা, নিরাপত্তাহীনতা ও সংঘাত দূর করে শান্তি, নিরাপত্তা এবং সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইসলামের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে কোনও কোনও অশুভ শক্তি একেক সময় একেক নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এতে আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভাবমর্যাদা আঘাতপ্রাপ্ত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসীদের কোনও ধর্ম নেই, সীমানা নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় বর্তমান সরকার সদা-তৎপর। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে সামজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরত মুফতি, মুহাদ্দিস, মুফাসসিরসহ আলেম-ওলামাগণের মাধ্যমে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রস্তুত করে স্থানীয় পর্যায়ের সব মসজিদের খতিব-ইমামদের মাধ্যমে নিয়মিত প্রচার নিশ্চিত করতে হবে। সব মসজিদের খতিব-ইমামগণ জুমার নামাজের খুতবার আগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী বক্তব্য প্রচার নিশ্চিত করবেন। পবিত্র কুরআন ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা সম্বলিত বক্তব্য অনলাইন তথা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এছাড়াও জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শ্রেণির জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ আয়োজনের উদ্যোগ নিতে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগ, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা জরুরি পদক্ষেপ নেবেন।