ধর্ষণকালে ভিডিও ধারণ করতেন পপিঃ পরে শুরু হতো ধর্ষিতাদের ব্লেকমেইল

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
টিভি চ্যানেলে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় সীমা আক্তার পপি (২৫) নামে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ।
৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে বাহুবল উপজেলা পুটিজুরী থেকে পপিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ধৃত পপির কাছ থেকে বিভিন্ন নারী-পুরুষের অশ্লীল ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে পুলিশ। সন্ধ্যায় আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশের দেয়া তথ্যমতে হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, টিভি চ্যানেলে গানের সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে হবিগঞ্জ শহরতলির জনৈক কিশোরীকে (১৫) শামীম নামে এক ব্যক্তি ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয় ধর্ষিতা কিশোরীকে। এ ঘটনায় ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সে তার মাকে বিষয়টি জানালে তিনি সদর থানায় এসে ওসি (তদন্ত) মুসলেহ উদ্দিনকে বিস্তারিত ঘটনা জানান।
একপর্যায়ে গত ৩০ মার্চ সদর থানায় এসআই মমিনুল ইসলাম পুটিজুরী থেকে অভিযুক্ত ধর্ষক শামীমকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে আরও রহস্য উদঘাটন হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন পর্ণোগ্রাফি আইনে উল্লেখিতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ মার্চ ওই কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা শেষে কোর্টে জবানবন্দিতে তাদের নাম প্রকাশ করে। পুলিশ এর পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় দেব জানান, ধর্ষণের ঘটনায় পপি জড়িত বলে গ্রেফতারকৃত শামীম জানিয়েছে। তিনি পলাতক ছিলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ মামলার অপর ২ আসামি ইতি ও রমিজ আলীকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

You might also like