ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের আপত্তি

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

নিউ ইয়র্ক: জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট বলেছেন,ধর্ষণ বড় ধরণের একটি অপরাধ।এটা প্রতিরোধে আইনের শাসন,অপরাধের দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।তবে মৃত্যুদণ্ড কোনো সমাধান নয়।শুক্রবার জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

আলজেরিয়া,মরক্কো,বাংলাদেশ,ভারত,নাইজেরিয়া,পাকিস্তান,এবং তিউনিসিয়াসহ পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দেশ ধর্ষণ রীতিমতো মহামারী আকার ধারণ করায় মৃত্যুদণ্ড নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার পর ব্যাচলেট এই বিবৃতি দিলেন।ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, দ্রুত অপরাধের তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,ন্যায়বিচারের দাবির সঙ্গে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করছি।তবে আমি উদ্বিগ্ন যে, কিছু জায়গায় এরই মধ্যে নিষ্ঠুর-অমানবিক শাস্তি এবং অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ প্রতিরোধে নাইজেরিয়ার আইন সংশোধন করা হয়েছে। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতি ধর্ষণের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রবর্তনে নারী ও শিশু নির্যাতন (প্রতিরোধ) আইন সংশোধন করে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছেন। পাকিস্তানের জনসাধারণ ফাঁসির আহ্বান জানিয়েছে। আরও অনেক দেশে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশগুলোর মূল সমস্যা হল যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তি ন্যায়বিচার পায় না।তিনি বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে মূল যুক্তি দেওয়া হচ্ছে ধর্ষণ প্রতিরোধ করা, তবে প্রকৃতপক্ষে অন্য শাস্তির তুলনায় মৃত্যুদণ্ড অপরাধ বেশি প্রতিরোধ করে তার কোনো প্রমাণ নেই।জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, অধিকাংশ দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে যারা যৌন সহিংসতার শিকার প্রথম ধাপেই তাদের বিচার পাওয়ার সুযোগ নেই। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

You might also like