নগরির জলাবদ্ধতা দূর করা আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ :আনোয়ারুজ্জামান

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ ‘আমার মত একজন ক্ষুদ্র কর্মীকে নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করেছেন এর থেকে বড় পাওয়া আর হতে পারে না।২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনীত করেছেন বলে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী আমার জন্য কাজ করেছেন, তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছেন, আমাকে সহযোগিতা করেছেন। ক্লিন, গ্রিণ ও স্মার্ট সিলেট বিনির্মাণে আমি যে প্রতিজ্ঞা করেছি মানুষ সেটা বিশ্বাস করেছেন, আর এ কারণেই আমাকে ভোট দিয়েছেন।মানুষের প্রত্যাশা পূরণে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব। আমার প্রথম লক্ষ্য নগরির পানি নিষ্কাশন। একটু বৃষ্টি হলেই শহর পানিতে ডুবে যায়, বাড়িঘরে পানি ঢুকে যায়। সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের সাথে কথা বলে মাস্টার প্ল্যান করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে। এটাই প্রথম চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, ‘আমার প্রথম কাজ এই শহরকে ক্লিন করা। প্রথমে শহরটা সুন্দর হোক তারপর রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হবে। শঙ্কা ছিলো মানুষ আমাকে ভোট দেবে কি দেবেনা। আমি আজ অত্যন্ত আনন্দিত যে জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন। তারপরও এই মুহূর্তে মন ভালো না, কারণ মানুষকে আমি যে কমিটমেন্ট দিয়েছি এটি আমি কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবো, এই নিয়েই আমি দুশ্চিন্তায় আছি।’
‘আমি আমার প্রতিজ্ঞা অন রেকর্ড বলেছি, এক বছর পরে যখন আমাকে জিজ্ঞেস করা হবে যে আমি আমার প্রতিজ্ঞা কতটুকু রাখতে পারলাম, এটা নিয়েই আমি শঙ্কিত।আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আমাকে তৌফিক দান করুন। সরকারের উন্নয়নের কাজ বন্ধ হয় নাই, বরঞ্চ সরকার কৃচ্ছতা সাধনের জন্য বলছে। যার অর্থ হচ্ছে অপচয় বন্ধ করা, সরকারি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের নামে অপ্রয়োজনে বিদেশ ভ্রমণ করবেন এ ধরণের বিষয়গুলো না করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী বলছেন।নবনির্বাচিত সিটি মেয়র আরও বলেন, ‘একটা প্রকল্পে যখন টাকা ইনভেস্ট করা হবে, তখম তার আউটপুট যাতে বেশি হয়, সেটা দেখতে হবে। এটি একটি নৈতিক বিষয়। আমি যে কাজে হাত দিবো, সে কাজ শেষ করব। যদি দেখি কোন কাজ করতে পারব না তাহলে হাত দিব না। আমি চাইনা সরকারের টাকা, জনগণের টাকা নষ্ট হোক। আমি আগে প্ল্যান করবো, তারপরে আটঘাট বেঁধেই সে কাজে লাগবো।যারা নাম বিক্রি করে অপকর্ম করবে সে যদি স্বচ্ছ থাকে তাহলে তা সম্ভব হবে না। আমার সাথে তা সম্ভব না। আমি বিশ্বাস করি, আমার সাথে যারা রাজনীতি করেন, আমার যত সহযোদ্ধা, তারা এ রকম করবে না।’

You might also like