নগরির জালালাবাদ এলাকায় গভীর রাতে দু’পক্ষের সংঘর্ষঃ ১১জন আটক

সত্যবাণী
সিলেট অফিসঃ
 সিলেট নগরির জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় এক আ’লীগ নেতার বাসায় হামলার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে অন্য একটি সুত্র এখানে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে। বিষয়টি আপোষ নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে বলেও জানা গেছে। ১৮ ফেব্রুয়ারি রোববার রাত দেড়টার দিকে জালালাবাদ আবাসিক এলাকায় ২২ নম্বর গলির বাসিন্দা ও স্থানীয় আ’লীগ নেতা এমএ হান্নানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আ’লীগ নেতা হান্নানের বাসার সামনে অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা চালান একদল লোক। এ সময় পাড়ার মসজিদের মাইকে দু’দফা ‘‘জালালাবাদ ২২ নম্বর গলিতে ডাকাত ঢুকেছে’ বলে প্রচার করা হয়। মাইকিং শুনে স্থানীয় এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই বাসা থেকে বের হয়ে আসতে শুরু করেন। কেউ কেউ পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাৎক্ষণিক ১১ জনকে আটক করে। এছাড়া ৩টি মোটরসাইকেল ও কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, নগরির ২৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সদ্যবিলুপ্ত বরইকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ রইছ আলীর ছেলে ও জালালাবাদ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোঃ তারেক আহমদ (৪৭),মোঃ সাইদ ইকবাল (৪২),মোঃ আরিফ আহমদ (৩৭), হোসেন আহমদ (৩৩,) নগরির দক্ষিণ কাজলশাহ এলাকার বাসিন্দা মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে মোঃ সুহেল (৩৬),২৮ নং ওয়ার্ডের বরইকান্দি এলাকার মৃত সিদ্দেক আলীর ছেলে জাবেদ আহমদ (৪২), আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ ফয়জুর রহমান (৩৫), শেখ দলা মিয়ার ছেলে ইমন আহমদ (২৯)ও মোহাম্মদ আলী রিপন (১৮), মৃত আব্দুল মুতলিবের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন (৫০)।
ঘটনার বিষয়ে আ’লীগ নেতা এমএ হান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, বাসায় আমার মা, স্ত্রীসহ সন্তানরা ছিল। হঠাৎ কিছু ‘ডাকাত’ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে। আমি দরজা খুলে না দিলে তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসায় চারপাশে হামলা চালায়।
তবে অন্য একটি সুত্র বলছে, এখানে দু’পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি আপোষ নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুজিত চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১১ জনকে আটক করেছি। এখানে একটু মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এখনো কোন মামলা বা অভিযোগ আসেনি, বিষয়টি আপোষ নিস্পত্তির চেষ্টা চলছে।

You might also like