নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি গনের সেমিনার সিলেট মহানগরীর বিরাট সংখ্যক ভবন কাঠামোগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বাংলাদেশের ভূমিকম্প প্রবণ এলাকায় অবস্থিত নগরী যেমন সিলেট, চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিদ্যমান ভবনসমূহের বেশিরভাগই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। এসব ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন এবং নির্মাণকাজ নিম্নেমানের হওয়ায় সিলেট নগরীর বিরাট সংখ্যক ভবন কাঠামোগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্বল ভবন সমূহের কাঠামোগত দুর্বলতা নির্ণয় ও সবলকরণের জন্য কাঠামোগত ডিজাইন প্রণয়ন করতে লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ৫ বছর মেয়াদী একটি ‘বাংলাদেশ-জাপান যৌথ গবেষণা প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়।বাংলাদেশের হাউজিং ও বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট এই গবেষণা প্রকল্পের উদ্যোক্তা।যৌথ গবেষণা প্রকল্পে জাপানের ৪টি এবং বাংলাদেশের ৪টি বিশ^বিদ্যালয়, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও এইচবিআরআই যুক্ত ছিল। এই গবেষণা প্রকল্পের প্রাপ্ত ফলাফল বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিগণের মাঝে প্রকাশের লক্ষ্যে গত শনিবার
দিনব্যাপী সিলেটে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে জাপান ও বাংলাদেশের গবেষকগণ ১৯টি গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় পুরকৌশল ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, সিলেট সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ৭০ জন প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি অংশগ্রহণ করেন।বাংলাদেশের বিদ্যমান ভবন সমূহের কাঠামোগত বৈশিষ্ট্য এবং দুর্বলতা বিবেচনায় নিয়ে যৌথ গবেষণা প্রকল্পের আওতায় জাপান ও বাংলাদেশে যৌথ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। উক্ত গবেষণা কার্যক্রমে জাপান ও বাংলাদেশের অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষক ও গবেষকবৃন্দ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। সেমিনারে জানানো হয়, যৌথ গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম সফলভাবে ২০২২ সালে সমাপ্ত হয়েছে এবং ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করে ৫টি ম্যানুয়াল প্রণীত হয়েছে।৫টি ম্যানুয়ালে বিদ্যমান ভবন সমূহের এসেসমেন্ট এবং রেট্রোফিট ডিজাইন, ভূমিকম্প দুর্যোগ সহনীয় নগর পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য উদ্ভাবিত পদ্ধতি সমূহ অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।