নজরদারি বাড়াতে সিসিকের অচল ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
দীর্ঘদিন অচলাবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশেষে সচল হয়েছে সিলেট নগরির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক ও পয়েন্টে লাগানো ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে ক্যামেরাগুলো সচল করা হয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে নগরির অপরাধ দমন, অপরাধী শনাক্ত এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি)। কোতয়ালি থানা থেকে চলবে সার্বক্ষণিক মনিটরিং।
সিলেটের সঙ্গে জুড়ে আছে দেশের প্রথম ডিজিটাল সিটির তকমা। ডিজিটাল সিটি গঠনের অংশ হিসেবে নগরির ব্যস্ততম ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হয় ১১০টি সিসি ক্যামেরা। এরমধ্যে ১০টি ‘ফেস রিকগনিশন’ ক্যামেরা। ২০১৯ সালে ক্যামেরাগুলো বসানোর পর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ধীরে ধীরে অধিকাংশ ক্যামেরা বিকল হয়ে পড়ে।
মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নিতে কয়েকবার অনুরোধ জানালেও সিটি করপোরেশন তাতে সায় দেয়নি। ফলে ডিজিটাল নগরীর ক্যামেরাগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। বর্তমান মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর এসএমপির পক্ষ থেকে ফের একই অনুরোধ জানানো হয়। সিসিকও নগরবাসীর জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে মেরামতের মাধ্যমে ক্যামেরাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয়। আজ বৃহস্পতিবার সিসি ক্যামেরা পুনঃসংস্কার প্রকল্পের ফের উদ্বোধন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
এসএমপি কমিশনার মোঃ জাকির হোসেন খান, পিপিএম’’র সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সিলেট নগরিকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেটিকে আরো আধুনিকায়ন করে স্মার্ট নগরি গড়তে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আগের থেকে অনেক আধুনিক। সরকারের একান্ত প্রচেষ্টায় পুলিশ বাহিনীকে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে রূপান্তর করা হয়েছে’।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথ্যপ্রযুক্তির দিকে খুবই স্মার্ট হয়েছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনেক স্পর্শকাতর ঘটনাও এখন সমাধান করা যায়, যা কয়েক বছর আগেও সম্ভব ছিলো না। এই নজরদারি সিস্টেম প্রকল্প সিলেট নগরিকে আরো স্মার্ট নগরিতে পরিণত করবে এবং স্মার্ট সেবা প্রদানে সবার সহজ হবে।

You might also like