নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, নিহত ১

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।নিহতের নাম মকবুল হোসেন (৪০)। তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান বলেন, নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত ছিল।এর আগে, বিকেল ৩টার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হন। দুপুরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে এবং নেতাকর্মীরাও পাল্টা ইটপাটকেল ছোড়ে।পুলিশ বলছে, বিএনপি কর্মীরাই সংঘর্ষের শুরু করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের সড়ক থেকে উঠিয়ে দিতে গেলে তারা অতর্কিতে পুলিশের ওপরে হামলা করে।

এর আগে, দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারা (বিএনপি) যে ঘোষণা দিচ্ছে ওইখানে (পল্টনে) বসেই তারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। সেগুলো যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।তিনি বলেন, ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষের সমাগম ঢাকায় সম্ভব না। বড় সমাবেশ হলে সোহরাওয়ার্দীতে হয়। কিন্তু বিএনপি কেন পল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে বলেও জানান মন্ত্রী।এদিকে বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। নয়াপল্টনেই সমাবেশ করব। তবে পুলিশ যেন দলীয় ভূমিকা পালন না করে।বিএনপি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশের কথা বলেছি। এখন বিকল্প দরকার হলে সরকারকে গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দিতে হবে।

You might also like