নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে হামলা, নিহত ৫

আন্তজার্তিক ডেস্ক
সত্যবাণী

নরওয়ে: নরওয়ের রাজধানী অসলোর সুপারমার্কেটে তীর-ধনুক হামলায় প্রাণ গেছে ৫ জনের। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুইজন। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে নরওয়ের কংসবার্গ শহরে এই ঘটনা ঘটে।সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অসলো থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে কংসবার্গ শহরের একটি সুপারমার্কেটে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজনকে ড্রামেন শহরের পুলিশ স্টেশনে নেয়া হয়েছে।নরওয়ে পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, ওই ড্যানিশ ব্যক্তি একাই হামলা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি সন্ত্রাসী হামলা কিনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে।নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী এরনা সোলবার্গ জানান, হামলার ওই ঘটনা ‘আতঙ্কজনক’।সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে তিনি বলেন, অনেক মানুষ এই ঘটনায় ভয় পেয়েছে, তা বুঝতে পারছি। তবে তাদের এটি জানা জরুরি, দেশের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।কংসবার্গ শহরের পশ্চিমে কুপ এক্সট্রা নামের সুপারমার্কেটের ভেতর ওই ড্যানিশ ব্যক্তি হামলা চালান। হামলায় আহতদের মধ্যে একজন অফ-ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন।নিজেদের দোকানের ‘ভয়াবহ ঘটনা’ সম্পর্কে কুপ এক্সট্রার এক মুখপাত্র জানান, তাদের কোনো কর্মী ওই হামলায় আহত হননি।খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর হামলাকারীর সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়। পৌনে ৭টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর হামলাকারীকে ড্রামেন শহরের একটি থানায় নেয়া হয়।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে একজন স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টিভিটুকে জানান, সুপারমার্কেটে কেনাকাটার একপর্যায়ে গণ্ডগোলের শব্দ পান তিনি। এক নারীকে ওই সময় আত্মরক্ষা করতে দেখেন তিনি। এরপরই মার্কেটটির এক কর্নারে কাঁধে তীরসহ তূণীর ও ধনুক হাতে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিকে দেখে প্রাণ বাঁচাতে মানুষজনকে এদিক-ওদিক দৌড়াতে দেখি। তাদের মধ্যে শিশু হাতে এক নারীও ছিল।ঘটনার সময় হামলাকারী অন্য কোনো অস্ত্র ব্যবহার করেছিল কিনা, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। জানা গেছে, হামলার পরপরই অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশের গাড়ি, হেলিকপ্টারসহ বেশ কয়েকটি যানবাহনকে ঘটনাস্থলে যেতে দেখা যায়।নরওয়ের বিচারমন্ত্রী মনিকা মেল্যান্ড ঘটনাটি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।নরওয়েজুড়ে সব পুলিশ কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

You might also like