নারায়ণগঞ্জে ট্রলারডুবি, ভেসে উঠেছে চার মরদেহ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ১০ জনের মধ্যে মা-মেয়েসহ চারজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। এখনো নিখোঁজ আছে আরো ছয়জন।রোববার (৯ জানুয়ারি) সকালে বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকার নদীর কিনার থেকে ভেসে উঠা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।এদের মধ্যে একই পরিবারের নিখোঁজ চারজনের ভেতর মা-মেয়ে রয়েছে। এরা হলেন- জেসমিন ও তার মেয়ে তাসমিন। বাকি দুইজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস বলেন, একই পরিবারের নিখোঁজ মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো দুইজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, বক্তাবলী ফেরিঘাট এলাকার নদীর কিনার থেকে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো দুজনের মরদেহ ভেসে উঠেছে। একই সঙ্গে নিখোঁজ বাকিদের সন্ধানে আমাদের ফায়ার সার্ভিস সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌপুলিশও চেষ্টা চালাচ্ছে।এর আগে বুধবার (৫ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা বিভাগের উপ- পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন।মামলায় গ্রেপ্তার মেসার্স ফারহান নেভিগেশনের এমভি ফারহান-৬ নামক লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান (৪০), ইনচার্জ চালক মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (৪০) ও সুকানি মো. জসিম মোল্লাকে (৩০) আসামি করা হয়েছে। তারা এখন কারাগারে রয়েছেন।