নির্বাচনে সহিংসতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা উচিৎ নয় : সিইসি

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনে সহিংসতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা উচিৎ না, এটা জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে। সেটা প্রতিরোধ করতে হবে।তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইন্টারন্যাশনাল ডাইমেনশন আছে। সেটাকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিটির কাছে দেখাতে হবে নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কিছুটা উত্তাপ নির্বাচন হবে কিছুটা গন্ডগোল হতে পারে। সহিংসতা হতে পারে। এগুলো খুব বেশি ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। অসহনীয় সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। সহিংসতাকে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা উচিৎ না, এটা জনমনে ভীতির সৃষ্টি করে।আজ সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এসব কথা বলেন। আজ ৬৫০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।একই দিনে ৪৩ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ দায়িত্বটা কমিশনকে দেয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কখনোই তার একক শক্তিতে নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। একারণেই সংবিধানে আরপিওয়ে সুষ্পষ্ট করে বলা আছে নির্বাচন পরিচালনা করতে কমিশন যেভাবে জনবল চাইবে রাষ্ট্র বা সরকার তা দিতে বাধ্য। এবার রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটা অংশ নির্বাচন বর্জন করেছে জানিয়ে সিইসি বলেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের বিরুদ্ধে নির্বাচনের বিপক্ষে বক্তৃতা করছেন। সেটা অসুবিধা নেই; তারা জনমত সৃষ্টি করতে পারেন। কিন্তু সহিংস পন্থায় যদি এটার বিরুদ্ধাচরণ করা হয় বা যারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তাদের যদি বাধা প্রদান করা হয়। তাহলে অবশ্যই সংকট দেখা দেবে। সেই সংকট মোকাবেলা আমাদেরকে করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের কাজ কিন্তু সরকার গঠন করা নয়। আমাদের কাজ খুব সীমিত। নির্বাচনটা আয়োজন করে দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করার ব্যবস্থা করা। নির্বাচনের মাধ্যমে যদি সরকার নির্বাচিত না হয় তাহলে অগণতান্ত্রিক সরকার গঠিত হওয়ার অবকাশ থাকে।সিইসি বলেন, অনেকেই বলেন কমিশন নির্বাচনটা তিনমাস পিছিয়ে দিলে ভালো হতো। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়নি। নির্বাচন তিনমাস পিছিয়ে দেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। অনেকে মনে করেন নির্বাচন কমিশন অসীম ক্ষমতার অধিকারী। প্রয়োজনে তিনমাস, তিন বছর বা ত্রিশ বছর পিছিয়ে দিতে পারে। এগুলো সত্য নয়।

You might also like