নির্বাচন করতে পারবেন না সাদিক-শাম্মী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

বরিশাল: আপিল বিভাগেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পাননি শাম্মী আহমেদ ও সাদিক আবদুল্লাহ।আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাম্মী আহমেদের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে শাম্মী আহমেদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়তে পারছেন না। আর বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতার বিষয়ে চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগে একই বেঞ্চ। ফলে সাদিক আবদুল্লাহও নির্বাচন করতে পারছেন না।মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হকের বিষয়ে শুনানী ১ সপ্তাহ পর।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে প্রার্থিতা বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দিন ধার্য করা হয়েছিল।বরিশাল-৪ আসনে নৌকা মনোনিত প্রার্থী শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন ইসিতে। শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে অভিযোগ করেন পঙ্কজ। এ নিয়ে ইসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় এ অভিযোগ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশনা দেয়। সে অনুযায়ী দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে ইসিতে পাঠানোর পর ১৫ ডিসেম্বর শাম্মীর মনোনয়ন বাতিল হয়। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ নাথের প্রার্থিতা বহাল থাকে।পরে শাম্মী আহমেদ রিট করলে ১৭ ডিসেম্বর তা খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করলে চেম্বার আদালত কোনো আদেশ দেননি। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে। এরপর শাম্মী ফের আবেদন করেন। তার আবেদনটি শুনানির জন্য আজ (২ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ৪ নম্বরে ছিল।অন্যদিকে, বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। ১৫ ডিসেম্বর আপিল শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে ইসি।

দ্বৈত নাগরিকত্ব প্রশ্নে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত ১৭ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতে রিট করেন সাদিক আব্দুল্লাহ। ১৮ ডিসেম্বর বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে আদেশ দেন। আবার ১৯ ডিসেম্বর সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে তার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।২০ ডিসেম্বর সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করা হয়। ২১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম জানান আপিল বিভাগে করা আবেদনের শুনানি ২ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

You might also like