পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসছে বুধবার
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
শরীয়তপুর: আগামীকাল বুধবার (১০ জুন) পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসানো হবে। আবহাওয়াসহ সব কিছু অনুকূলে থাকলে স্প্যানটি শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের ২৫ ও ২৬ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে।ইতোমধ্যে স্প্যানটির চূড়ান্ত রঙের কাজ, হ্যান্ড রেল, স্টেয়ার, ব্যালেন্স লোড স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে।বুধবার সকাল ৮টার দিকে মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন থেকে ভাসমান ক্রেনে করে স্প্যানটি আনা হবে জাজিরা প্রান্তে। ৩১তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সাড়ে চার কিলোমিটারেরও বেশি অর্থাৎ চার হাজার ৬৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে।
৩১তম স্প্যানটি বসানো হলে বাকি থাকবে ১০টি স্প্যান। তবে কোনো কারণে বুধবার স্প্যানটি বসানো সম্ভব না হলে পরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বসানো হবে।পদ্মা সেতু প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি চ্যানেল দিয়ে ফেরি, লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলারসহ সব ধরনের জলযান চলাচল বন্ধ থাকবে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-চ্যানেলের মাঝ বরাবর পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসানো হবে।তিনি বলেন, ভোগান্তি এড়াতে বুধবার ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্প রুটে (ঢাকা-পাটুরিয়া-ভাঙ্গা) চলাচলের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুতে বসানোর জন্য আরও চারটি স্প্যান প্রস্তুত আছে। আগামী বছর জুন মাসে সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।
অপরদিকে সংশোধিত শিডিউল অনুযায়ী আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে সব স্প্যান বসে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা মনে করছেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই খুঁটির ওপর সব স্প্যান বসে যাবে।ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি দ্বিতল হবে। যার ওপর দিয়ে সড়কপথ ও নিচের অংশে থাকবে রেলপথ। সেতুর এক পিলার থেকে আরেক পিলারের দূরত্ব প্রায় ১৫০ মিটার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় নিজস্ব অর্থায়নে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়।৪২টি পিলারের ওপর মোট ৪১টি স্প্যান জোড়া দেয়া সম্পন্ন হলে পদ্মা সেতু পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদী শাসনের কাজ করছে চীনের সিনো হাইড্রো করপোরেশন। মূল সেতু নির্মাণকাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি।