পর্তুগালের জরুরি অবস্থা শেষ হচ্ছে আগামী ৩০শে এপ্রিল
পর্তুগাল করেসপন্ডেন্ট
সত্যবাণী
লিজবন থেকে: করোনা মহামারির কারনে পর্তুগালে একটানা ১৭৩দিন জরুরি অবস্থা থাকার পর আগামী ৩০ এপ্রিল সেটা শেষ হতে যাচ্ছে । পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট ড. মার্সেলো দ্যা সোসা গতকাল ২৭ এপ্রিল রাত ৮ টার সময় জাতীর উদ্দেশ্য ভাষন দান কালে জরুরি অবস্থা সমাপ্তির ঘোষনা দেন । তিনি বলেন, আমি মনে করিনা আমাদের আর জরুরি অবস্থা বর্ধিত করার প্রয়োজন আছে ? কারন এই মূহুর্তে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন এবং মৃতের সংখ্যা এবং হাসপাতালে নতুন রোগীর ভীড় আশানুরূপ কম এবং আইসিইউ গুলো অনেকটাই খালি। তাছাড়া প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে অগ্রিম করোনার টেস্টিং হচ্ছে এবং তার পাশাপাশি ভ্যাকসিন কার্যক্রমেও গতি বেড়েছে ।
তিনি বলেন, ইস্টার এবং স্কুলগুলোতে ক্লাস শুরুর এক মাসেরও মতো সময় অতিবাহিত হওয়ার পর ও এখন পর্যন্ত সবকিছু নিয়ন্ত্রনে আছে । তাই এই অবস্তা পর্যবেক্ষেনে মনে হচ্ছে জরুরি অবস্তা বাড়ানোর কোন যুক্তি নেই । তিনি গত বছর নভেম্বরের পর থেকে এখন পর্যন্ত লাখ লাখ পর্তুগিজদের সহযোগীতা , সচেতনতা এবং ত্যাগের” প্রশংসা করেন । তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এবং আস্তা আছে জনগনের উপর তাই জরুরি অবস্তা তুলে নিচ্ছি । আশাকরি তারা আগের মতোই ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সচেতন থাকবেন । সকল ধরনের স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলবেন । আমরা আর কোন মতেই আগের অবস্তায় ফিরে যেতে চাইনা । তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আমরা যদি সচেতন ভাবে চলাচল না করি, এবং স্বাস্হ্য বিধি এড়িয়ে চলি এবং সংক্রমনের হার বাড়তে থাকে তাহলে আমি আবার জরুরি অবস্তা জারি করতে একটুও দ্বিধা করবো না ।
পর্তুগালে ২০২০ সালের ১৯ শে মার্চ প্রথম জরুরি অবস্তা জারি করা হয় । এবং এর পর থেকে সর্বমোট ১৫ বার জরুরি অবস্তা জারি করা হয়েছে । জরুরি অবস্তায় জারীতে জনগনের অধিকার স্বাধীনতা এবং স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় । তবে পর্তুগালের সংবিধান যে কোন বিপর্যস্ত পরিস্তিতিতে দেশের প্রেসিডেন্ট এবং সংসদকে এই আইন প্রয়োগের অধিকার দিয়েছে ।