পর্দা নামল চাষীরহাট উন্নয়ন মেলা
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চাষীরহাট: পর্দা নামল সাতদিনব্যাপী চাষীরহাট উন্নয়ন মেলা পণ্য প্রদর্শনীও পিঠা উৎসবের। সমাপনীঅনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষহলো ব্যবসায়ী আর দূর-দূরান্তথেকে আসা সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের এই মিলন মেলা।২৬ শে জানুয়ারি শুরুহয়ে গতকাল ২রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্তচলে এই মেলা। গতকালশুক্রবার বিকালে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মইন উদ্দিনেরসভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদইব্রাহিম। সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা, চাষীরহাটউন্নয়ন মেলার রূপকার, এলাকার কৃতি সন্তান হেযবুততওহীদের সর্বোচ্চ নেতা এমাম হোসাইনমোহাম্মদ সেলিম। চাষীরহাট উন্নয়ন মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিনচৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আবুলকাশেম ভূঁইয়া মেম্বার, মেহরাব হোসেন ভুট্টু, শাহাদাত হোসেন রাসেল, এস এ টিভিরজেলা প্রতিনিধি আব্দুর রহিমসহ স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়াপার্সন ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।অতিথিরা মেলা পরিদর্শন করেন।সুলভ মূল্যে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের নিজস্ব পণ্য সামগ্রীর মানও চাহিদা তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়।পরিদর্শনকালে তারা ঘুরে ঘুরেপিঠা-পায়েশ চেখে দেখেন। মেলায়আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন তারা। এমনসুশৃঙ্খল পরিবেশে নিরাপত্তাবলয়ে এমন একটি মেলারআয়োজন দেখে তারা মুগ্ধহন। দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে এবং পারস্পরিকসম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ব বাড়াতেএরকম মেলার বিকল্প নেই বলে তারামন্তব্য করেন। সাতদিনব্যাপী এই মেলায় চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং কিংবা মারামারির মতো একটি অপ্রীতিকরঘটনা ঘটেনি যা এক অনন্যদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেনপরিদর্শকরা। প্রতিবছরই এই মেলার আয়োজনকরার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধজানান তারা। সুস্থ সংস্কৃতির চর্চাকে বেগবান করতে মানুষকে অশ্লীলতাবিমুখকরতে মেলায় আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিকঅনুষ্ঠানের। মাটি শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীদেরঅংশগ্রহণে মেলায় হামদ নাত, গজল, দেশেরগান, জারি গান, সামাজিকজনসচেতনতামূলক নাটিকা, কবিতা আবৃত্তিসহ ছিল নানা আয়োজন। ব্যবসায়ীদেরসাথে কথা বলে জানাযায়, গতবছর মেলা হয়েছিল তিনদিনব্যাপী। এবছর কর্তৃপক্ষ সাতদিনব্যাপী মেলার আয়োজন করেছেন। গতবারের তুলনায় এবছর বেচা-কেনাঅনেক বেশি হয়েছে। এবছরক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভীড়ওবেশি ছিল। কয়েকজন ক্রেতারসাথে কথা হলে তারাজানান, এখানকার পণ্য মানসম্মত এবংমূল্যও হাতের নাগালে।