পশ্চিমবঙ্গে সম্বর্ধিত অধ্যাপক স্বপ্নীল
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডন: গত ১৭ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলী-চুঁচুড়া বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে অধ্যাপক মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলকে বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে যেয়ে অধ্যাপক স্বপ্নীল আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, “এপার আর ওপার বাংলার বাংলা আর বাঙালীর মধ্যে যে চিরায়ত সম্পর্ক পদ্মায়-গঙ্গায় বহমান তা লেখায় আর বলায় আরো সুদৃঢ় হবে”।
অনুস্ঠানে বাংলাদেশের শক্তিশালী কবি, বিশ্ব কবি মন্চের সভাপতি কবি পুলক কান্তি ধর এবং কলকাতার কবি মহুয়া দাসেকেও সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে অধ্যাপক স্বপ্নীল ও অন্যান্যরা ১৪তম হুগলী-চুঁচুড়া বইমেলা ঘুরে দেখেন।
গতকাল ১৮ ডিসেম্বর কলকাতায় নলিনী গুহ সভাগৃহে আয়োজিত বাংলাদেশ-ভারত কবিতা উৎসবে অধ্যাপক স্বপ্নীলকে লেখনীর জন্য সম্বর্ধনা প্রদান করে কলকাতার সামাজিক ও সাহিত্য সংগঠন পার্বত্য কাব্য। এই অনুস্ঠানেও তার বক্তব্যে অধ্যাপক স্বপ্নীল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রিময় সম্পর্ককে দৃঢ়তর করায় কবিতা ও সাহিত্য চর্চা ও দুই বাংলার সাহিত্যসেবিদের মধ্যে আরো ঘনিষ্ট যোগাযোগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করেন।
উল্লেখ্য অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের বর্তমান প্রধান। পাশাপাশি তিনি জাপানের এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ও মেটাবোলজি বিভাগের ভিজিটিং অধ্যাপক এবং ভারতের অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সেস, ঋষিকেশের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের বোর্ড অব স্টাডিজের সদস্য। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিন-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের ভাইরাল হেপাটাইটিস, এইচআইভি-এইডস, এসটিআই সংক্রান্ত স্ট্র্যাটেজিক এন্ড টেকনিক্যাল এডভাইজারি গ্রুপেরও অন্যতম সদস্য।
অধ্যাপক স্বপ্নীল বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পোর্টালে নিয়মিত সমসাময়িক বিষয়ে কলাম লিখেন। তিনি অনুবাদ সাহিত্যেও সময় দেন। লেখালেখির জন্য তাকে বিশ্ব কবি মন্চ “সৈয়দ মুজতবা আলী সাহিত্য পুরস্কার ২০২২” প্রদান করে।
তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে আছে অনুবাদ গ্রন্থ ড. হেনরি কিসিঞ্জারের ‘হোয়াইট হাউজ ইয়ারস’ অবলম্বনে ‘প্রেক্ষাপট : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ’ এবং মেজর জেনারেল (অবঃ) লক্ষণ সিং-এর ‘ভিক্টরি ইন বাংলাদেশ’ অবলম্বনে ‘একাত্তরের বিজয়’ । বই দুটি প্রকাশিত হয় সাত সকাল প্রকাশনী থেকে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে। মাওলা ব্রাদার্স প্রকাশ করেছে তার প্রবন্ধ সংকলন ‘সেকাল একালের কড়চা’, ‘এখন সময় বাংলাদেশের’, ‘পথ হারাবে না বাংলাদেশ’, ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’, ‘কোভিড-১৯’ ও ‘পদ্মা সেতু – অর্থনীতি উন্নয়ন ও অন্যান্য’ যথাক্রমে ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে আর মুক্তধারা থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘লিভার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনা’ ২০১৮ সালে। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।