পুতিন বললেন-বাংলাদেশের অর্থনীতি-নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী 

রূপপুর (পাবনা): বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্মিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুই দেশের স্বার্থ রয়েছে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা ভ্লাদিমির পুতিন।

এ অনুষ্ঠানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি (নিউক্লিয়ার ফ্রেস ফুয়েল) ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করা হয়।

গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু।

৫০ বছরেরও বেশি সময় আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং মুক্তিযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনে রাশিয়া সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে রাশিয়ার। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুই দেশের স্বার্থ রয়েছে। এতে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ভ্লাদিমির পুতিন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফল করেছেন। এর উদাহরণ হলো বাংলাদেশ-রাশিয়ার যৌথভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ। রাশিয়া শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে না, প্রকল্পের পুরো সময়কাল সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা করে যাবে। এই প্রকল্প বাংলাদেশের বর্ধনশীল অর্থনীতির চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে। বন্ধুপ্রতিম ভারতও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহোযোগিতা করছে।

প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, ১৯৭০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব বাংলার মানুষের মুক্তি সংগ্রাম এবং পরবর্তীতে নতুন রাষ্ট্র গঠনে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রথম দিকে স্বীকৃতি দেওয়া রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন অন্যতম। পরে বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে সহযোগিতা করেছে, যা বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লেগেছে। রোসাটম যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে, এর প্রথম ইউনিট ২৪ সালে কমিশনিংয়ে যাবে, এরপর দ্বিতীয় ইউনিট, এরপর ২০২৬ সালে এই প্রকল্পে পুরোপুরি বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।

তিনি বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুতে অবশ্যই কার্বন নির্গমন হবে না। পরিবেশের এবং মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। এ কেন্দ্রটি বাংলাদেশের মানুষের বিদ্যুৎ চাহিদাসহ বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করবে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রোসাটম অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এর ফলে উচ্চতর নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

You might also like