পুরান ঢাকায় ‘বিএনপি নেতার নেতৃত্বে’ ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ চাঁদা না দেয়ার জেরে পুরান ঢাকার ইসলাপুরে বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি মার্কেটের সভাপতি বাবুল হোসেনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ হামলার পেছনে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। ঘটনাকে কেন্দ্র বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ব্যবসায়ীরা। এতে অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিকেল ৫টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। পৌনে ৭টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চাইলে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।

নাম প্রকাশ না করে কয়েকজন ব্যবসায়ী ‘জনমতকে জানান, গত মঙ্গলবার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটির সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এর জের ধরে বুধবার ইসলামপুরে তাকে একা পেয়ে মারধর করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এরপর দলবল নিয়ে বিএনপির অন্তত দুই শতাধিক নেতাকর্মী বিক্রমপুর গার্ডেন সিটিতে প্রবেশ করে হামলা চালায়। হামলার সংবাদের পর মাইকিং করে সকল দোকানপাট বন্ধ করার ঘোষণা দেন। এরপর পাটুয়াটুলি, ইসলামপুর ও সদরঘাট এলাকার রাস্তায় নামেন ব্যবসায়ী ও কর্মচারিরা। পরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেন, মার্কেটের সভাপতি বাবুলের ওপর হামলার পরই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা যখন হামলা চালায় তখন তাদের হাতে লোহার রড, লাঠি ও দেশী অস্ত্র ছিলো। হামলায় স্থানীয় টোকাইসহ চিহ্নিত অপরাধীরাও অংশ নিয়েছে। এ হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা আহমেদ সোবহান ও নূর হোসেন। এছাড়াও সদরঘাটের বিএনপি নেতা সুমন ভূইয়ার লোকজন রড ও লাঠি নিয়ে হামলার করতে আসে।এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা সাইদুর রহমান মিন্টু বলেন, ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, ওইখানে ব্যবসায়ীদের একটি সভা ছিল। মার্কেটের সভাপতি বাবুল হোসেন বাবু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ব্যবসায়ী প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের মারামারি হয়। তবে চাঁদার দাবিতে হামলা হয়েছে এবং এ হামলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা জড়িত এমন তথ্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হাসান বলেন, নূর ইসলামসহ কয়েকজন মার্কেট কমিটির সভাপতি বাবুল হোসেন বাবুকে মারধর করার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

You might also like