পোস্ট অফিসের সেভিংস স্কিমে রাখা যাবে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ সরকার ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের বিনিয়োগ সীমিত আকার করে দিয়েছে। এখন থেকে ডাকঘর সঞ্চয় কর্মসূচিতে একক নামে বিনিয়োগ করা যাবে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত, যা আগে ছিল ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত। আর যুগ্ম (যৌথ) নামে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ২০ লাখ টাকা করা হয়েছে। যা আগে ছিল ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যদিও প্রজ্ঞাপনে তারিখ উল্লেখ রয়েছে গত ২০ মে এবং ওইদিন থেকেই তা কার্যকর। নতুন এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগে যে গ্রাহক এই স্কিমে ১০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারতেন, এখন পারবেন ৩৩ টাকা।আইআরডি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘এই সঞ্চয় স্কিম নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য। অন্য সঞ্চয় স্কিমের সুদ হার কমে যাওয়ায় সবাই এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানও এখানে অর্থ জমা করছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে অর্থ প্রবাহ কমে গেছে। সাধারণ সঞ্চয়কারীদের বিনিয়োগের জন্য সরকারি খাতের জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের অধীনে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক নামে দুই ধরনের বিনিয়োগের উপকরণ রয়েছে। এগুলোও অন্যান্য সরকারি খাতের সঞ্চয়পত্রের মতো সম্পূর্ণ সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে বিনিয়োগের উপকরণ হিসাবে রয়েছে সাধারণ হিসাব ও মেয়াদি হিসাব। দুই ধরনের হিসাবেই বাংলাদেশের যে কোনো শ্রেণি-পেশার নাগরিক বিনিয়োগ করতে পারেন।

যে কোনো একটি হিসাবে একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। এসব হিসাবে নমিনি নিয়োগ করে যেমন উত্তরাধিকারী নিয়োগ করা যায়, তেমনি হিসাবের মেয়াদকালীন যে কোনো সময় নমিনি পরিবর্তন করা যায়।সাধারণ হিসাবে যে কোনো পরিমাণে টাকা জমা রাখা যায়। যে কোনো সময় টাকা জমা করা যায়। তবে জমার পরিমাণ নির্ধারিত সীমার মধ্যে রাখতে হবে। এ হিসাবে বিনিয়োগ করলে এক মাসেও মুনাফা দেয়া হয়। মুনাফার হার গড়ে ৫ শতাংশ। সব শ্রেণির-পেশার পাশাপাশি এমনকি নাবালকের নামেও এ ধরনের হিসাব খুলে বিনিয়োগ করা যায়।

৩ বছর মেয়াদি বিনিয়োগ হিসাব (মুনাফার হার ১১.২৮ শতাংশ) সব শ্রেণি-পেশার নাগরিকের নামে খোলা যায়। একক নামে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা জমা করা যায়। স্বয়ংক্রিয় পুনঃবিনিয়োগ সুবিধা পাওয়া যায়। এতে মুনাফার হার প্রথম বছরে ৫ শতাংশ। দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৫ শতাংশ, তৃতীয় বছরে ৬ শতাংশ মুনাফা দেয়া হয়। ৬ মাস পর পর মুনাফা উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে। ৬ মাস পর পর মুনাফা তুললে প্রথম বছরে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ৫ শতাংশ হারে মুনাফা প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, এ হিসাব শুধু ডাকঘরগুলোতে পরিচালিত হয়। জেলা ও থানা সদরের সব উপজেলার ডাকঘরে এ হিসাব পরিচালিত হয়। এগুলোতে গিয়ে এসব হিসাব খোলা যাবে। মেয়াদ শেষে গ্রাহক টাকাও তুলতে পারেন। তবে মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ হারে উৎসে আয়কর কেটে রাখা হয়।

You might also like