প্রজ্ঞাপন জারি : বিধিনিষেধ বাড়ল ৫ মে পর্যন্ত
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে টালমাটাল সময়ের মাঝে সারাদেশে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ৫ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।মরণ ভাইরাসটির সংক্রমণ সামাল দিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার (২৮ এপ্রিল) নতুন করে এই প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এর আগে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় প্রথমবার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। যা খুব একটা কার্যকর হয়নি। পরে ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ। এরপর আরও এক ধাপ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়। যদিও এরই মধ্যে শপিং মল খোলাসহ বেশকিছু বিষয়ে বিধিনিষেধের শর্ত শিথিল করেছে সরকার। সর্বশেষ চলমান এ বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হলো ৫ মে পর্যন্ত।এ দিকে, ভারতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় গত ২৫ এপ্রিল দেশটির সাথে সীমান্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ২৬ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য দেশটির সাথে সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে, গত ২৬ এপ্রিল জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ‘ভারতের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। এটা আমাদের দেশেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সে জন্য জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে যে অবস্থাটা আছে সেটি আরও এক সপ্তাহ কন্টিনিউ করা। না হলে এটা আরও ভয়াবহ অবস্থা ধারণ করতে পারে। সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে জন্য বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।তিনি বলেন, এই সময়ে রাত ৮টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা থাকবে। মানুষকে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমলে যেতে হবে। তবে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।এছাড়া করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণে আসন্ন পবিত্র ইদুল ফিতরের নামাজের জামাত ইদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তবে মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করাসহ ১২টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।