প্রতিদিন ইফতার পূর্ব সময়ে যানজটে নাকাল নগরবাসী

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেট মহানগরির অপরিসর রাস্তায় এমনিতেই যানজট লেগে থাকে। আর ইফতারের ঠিক আগ মূহুর্তে যানজটের যন্ত্রণা যেন আরও বেশি বেড়ে যায়। প্রতিদিন নগরবাসীকে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। আধঘণ্টার রাস্তা যেতে দ্বিগুণ সময় লাগছে। যানজটে আটকা পড়ে অনেককে ইফতার করতে হচ্ছে রাস্তায়।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইফতারের আগে ঘরে ফেরা মানুষের জন্য রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এছাড়া রাস্তার পাশে অধিকাংশ স্থানে বিপুল পরিমাণ ইফতার সামগ্রি বেচাকেনার দোকান বসে। ফলে সরু রাস্তা আরো ছোট হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। রোজার মাসে অফিস বা দিনের কাজ শেষে সবাই সময়মতো ঘরে ফিরতে চায়। পরিবারের সঙ্গে অংশ নিতে চান ইফতারে। সেজন্য একটু তাড়াহুড়ো করেই কেউ রিকশা, কেউ সিএনজি অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিংযোগে গন্তব্যের দিকে ছুটেন। কিন্তু সবকিছু যেন থমকে দাঁড়ায় যানজটের কবলে।

৪ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে নগরির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় রাস্তার পাশে গড়ে উঠা অস্থায়ী ইফতারের দোকানগুলোতে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা। ফলে সংকীর্ণ হয়ে রাস্তায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইনের জ্যাম লেগে সব স্থবির।টিলাগড়ের জনৈক বাসিন্দা জানান, অফিস শেষে বিকেলে বাসায় ফেরেন তিনি। কিন্তু প্রতিদিন ইফতারের আগ মুহূর্তে বন্দরবাজার থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয় তাকে। অনেক সময় রাস্তায়ও ইফতার করতে হয়।আম্বরখানার বাসিন্দা এক তরুণ জনান, জিলাপি কিনতে এসেছেন তিনি। এই এলাকার প্রায় সব অস্থায়ী দোকান রাস্তা ঘেঁষে গড়ে উঠেছে। তাই ঘরে ফেরা লোকজন ইফতার সামগ্রি কিনতে গিয়ে রাস্তা ব্লক হয়ে যায়।মদিনা মার্কেটের এক অটোরিক্সা চালক জানান, বিকেলে অধিকাংশ মানুষের অফিস বা কাজ শেষ হয়। ইফতারের আগে সবাই বাসায় ফিরতে চায়। তাই রাস্তায় মানুষের চাপ বাড়ে, একই সাথে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়। তাই এই সময়টিতে যানজট বেশি লাগে।দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের জন্য সবারই বাসায় ফেরার তাড়া থাকে। রিকশা ও পথচারীদের রাস্তা পারাপারে অন্য গাড়িগুলোকে চলতে হয় ধীরগতিতে। সিগন্যাল ছাড়লেও রিকশা ও পথচারীদের চাপে যানবাহন চলাচল বাঁধাগ্রস্ত হয়। তখনই যানজট লাগে।

You might also like