প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা পুলিশি বাধায় পণ্ড
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ ধর্ষণবিরোধী গণজমায়ত নিয়ে রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অভিমুখে শুরু হওয়া কালো পতাকা মিছিলটি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সামনে পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়ে যায়। এসময় মিছিলকারী ও পুলিশের মধ্য ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে ছাত্র ইউনিয়নের ৫ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটে থেকে ‘ধর্ষকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে ধর্ষণবিরোধী মিছিল শুরু হয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সামনে এলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে আন্দোলনকারীরা। সমাবেশ থেকে মিছিলে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় ৭টায় মশাল মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে। মিছিল শেষে ধর্ষণ প্রতিরোধে ‘ব্যর্থ’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কুশপুত্তলিকা দাহ করা কথাও জানান তারা।সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ‘আজকের ধর্ষনের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে প্রমাণ করেছে তারা ধর্ষকের পক্ষে। যেসব পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়েছে তাদের মধ্যে কোনও নারী পুলিশ সদস্য ছিল না। পুরুষ পুলিশ সদস্যরা আমাদের নারী কর্মীদের আঘাত করে।’
কালো পতাকা মিছিলে যোগ দিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ প্রগতিশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী, লেখক-কবি ও ব্লগাররা। এর আগে বেলা ১২টা থেকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে কালো পতাকা মিছিল পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা। জমায়েত থেকে ‘আমার মাটি আমার মা, ধর্ষকদের হবে না’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষকের সে রাষ্ট্র মানি না’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষককে পুষে রাষ্ট্র মানিনা’সহ ধর্ষণবিরোধী স্লোগান দেয় আন্দোলনকারীরা।মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে ‘ধর্ষণের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে তাদের গণজমায়েত হওয়ার কথা ছিলো৷ তবে বৃষ্টির কারণে দেরিতে ধর্ষণবিরোধী গণজমায়েত শুরু হয়৷সোমবার (৫ অক্টোবর) সকাল থেকেই নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনসহ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে শাহবাগে মোড়ে অবস্থান নিতে শুরু করে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।