প্রধানমন্ত্রীর দিবা-নিশি কাজের কারণে দেশে করোনায় মৃত্যু কম: তথ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের সীমিত সম্পদ, সীমিত সামর্থ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিবা-নিশি কাজ করে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এ কারণেই দেশে মৃত্যুর হার অনেক কম।মঙ্গলবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে দেয়া বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সারাবিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গেছে এবং এ পরিস্থিতিতে অর্থমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি সাহসী বাজেট ঘোষণা করেছেন। একটু আগে বক্তৃতায় বিরোধীদলীয় এমপি হারুনর রশিদ বলছিলেন এ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা আছে কিনা।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১১ বছর ধরে শুনে আসছি প্রতিবার বাজেট পেশের পর বিএনপি ও তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে সমমনা দল এবং কিছু প্রতিষ্ঠান সমালোচনা করে। সমালোচনা না করলে মনে করে যে তাদের পাণ্ডিত্য ফলানো হচ্ছে না। পাণ্ডিত্য ফলানোর জন্য তারা সব সময় বলেন যে এ বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে গত ১১ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯৫ থেকে ৯৭, ৯৮ শতাংশ। প্রতি বাজেটের পর বিএনপিসহ কয়েকটি দল আর কিছু বুদ্ধিজীবী বলেন এটি উচ্চাবিলাষী। এবারও একই কথা বলা হয়েছে। এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে যদি উচ্চাভিলাষ না থাকে, তাহলে সে অভিলাষ পূরণের তাগাদা থাকে না, অভিলাষ পূরণের জন্য প্রচেষ্টা থাকে না।তিনি বলেন, অভিলাষ গত ১১ বছর ধরে ছিল বিধায় আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই উচ্চাভিলাষী বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০০ থেকে ২০০৯ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। জিডিপির আকার পাঁচগুণ বেড়েছে, বাজেট ছয় গুণ বেড়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি (বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনর রশিদ) বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য তিনি হয়তো বাজেটটি ঠিকমতো পড়েননি। যদি পড়তেন তাহলে উনি এ কথা বলতেন না। সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বাজেটের ১৬ শতাংশের বেশি এবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।মন্ত্রী বলেন, করোনার কারণে পৃথিবীতে যে কয়টি দেশে মৃত্যুর হার কম তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। আমাদের সীমিত সম্পদ, সীমিত সামর্থ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিবা-নিশি কাজ করে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন এ কারণেই দেশে মৃত্যুর হার অনেক কম। জনগণ যদি আরও সচেতন হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তাহলে আক্রান্তের হার কমবে এবং একই সঙ্গে মৃত্যুর হার আরও অনেক কমবে।