প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা আশা করি বিএনপি মনে রাখবে : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
চট্টগ্রাম: তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া আশা করি সেটি মনে রাখবেন।তিনি আরো বলেন ‘বেগম জিয়াকে বারবার সাজার মেয়াদ স্থগিত রেখে মুক্ত থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এখন তারা আবারও আবেদন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তো মহানুভব।’তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু’র মেজবান হলে চট্টগ্রাম ওয়াসার শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার-২ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্টের হত্যাকা-কে উপহাস করেছেন, হত্যাকারীদের উৎসাহ দিয়েছেন, নিজের জন্ম তারিখ বদলে দিয়ে ১৫ আগস্ট কেক কেটেছেন, খালেদা জিয়া ও তার স্বামী জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের পুনর্বাসিত করেছেন, খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে জড়িত, খালেদা জিয়ার দুয়ারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়েছিলেন- তিনি দুয়ার খোলেননি, সেই খালেদা জিয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়া আশা করি ভবিষ্যতে সেটি মনে রাখবেন।’
ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো জনগণের কাছে যান না, তিনি মাঝে মধ্যে ঠাকুরগাঁও যান আর টেলিভিশনে প্রোগ্রাম করেন, আবার মাঝে মধ্যে লোক দেখানো কিছু প্রোগ্রাম করেন। জনগণ যে আজকে ভালো আছে, তারা তো আসলে সেটুকু জানেন না। জনগণ ভালো থাকুক সেটিও তারা চান না, জনগণ যে ভালো আছে এতে তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। এজন্য নানা ধরণের বিভ্রান্তিকর কথা বলেন তারা।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মন্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষের কষ্ট ও দুর্ভিক্ষ হয়, এসি রুমে বসে তারা মানুষের দুর্ভিক্ষ ও কষ্ট বুঝেন না’-প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এই করোনা সঙ্কটের সময়ে আওয়ামী লীগই সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে, বিএনপি কখনো থাকেনি। বিএনপি করোনাকালে দু-একটি লোক দেখানো প্রোগ্রাম করে কয়েকটি প্যাকেট বিতরণ করেছে, টেলিভিশনে ফটোসেশন করেছে, এর বাইরে কিছু করেনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দলের নেতাকর্মীরা জনগণের সাথে থাকেন, করোনাকালে বুঝা গেছে কোন্ দলের নেতাকর্মী, এমপি ও মন্ত্রীরা জনগণের পাশে ছিলেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে ছিলেন বিধায় এই করোনার সময়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের অনেক সংসদ সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। তারা জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও ত্রাণ বিতরণ করেছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার হাসপাতালে গেছেন। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে আবার জনগণের কাছে গেছেন। সেই কারণেই তারা অসুস্থ হয়েছেন এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেছেন।‘আমি নিজেও দু’বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছি। এরপরও প্রতি সপ্তাহে আমার নির্বাচনী এলাকায় আসি’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর শুরু থেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, চট্টগ্রামের উন্নয়ন তিনি নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। সেই মোতাবেক সমগ্র চট্টগ্রামব্যাপী অনেকগুলো মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে সুপেয় পানি চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম শহরবাসী যাতে সুপেয় পানি পায় সেজন্য তার নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণ এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক সহযোগিতা করেছে। এজন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।