প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এনইসির সভা শুরু
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ করোনা পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৯ মে) বেলা ১১টায় এ সভা শুরু হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যোগ দিয়েছেন। মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।জানা গেছে, এনইসি সভায় অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)। এর মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের কাজ। সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং করবেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।সোমবার (১৮ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আগামী অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এনইসির সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতসহ সরকারের চলমান ৭ মেগ প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবারের এডিপি। আর সেভাবেই তৈরি হবে সরকারের নতুন অর্থবছরের বাজেট। আগামী ১১ জুন জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে ১২ মে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় পরিকল্পনামন্ত্রীর সভাপতিত্বে ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন এডিপিতে ১০টি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো, পরিবহন খাতে (সড়ক ও সেতু মিলিয়ে) বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫২ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। যা বাজেটের চার ভাগের এক ভাগেরও বেশি। অবকাঠামো, পানি ও গণপূর্ত খাতকে দ্বিতীয় গুরুত্ব দিয়ে এই খাতে বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১৩ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। এখানে বাজেটের ১২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ২৪ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে শিক্ষা ও ধর্ম। এ খাতে বরাদ্দ ২৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ১১.১১ শতাংশ। বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে মোট বরাদ্দ ১৮ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৯ শতাংশ বরাদ্দ। পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান খাতে বরাদ্দ ১৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৮ শতাংশ। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, জনসংখ্যা পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় খাতে বরাদ্দ ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৭ শতাংশ। কৃষি খাতে বরাদ্দ ৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা, মোট বাজেটের ৪ শতাংশ। পানি সম্পদ খাতে বরাদ্দ ৫ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ৩ শতাংশ। জনপ্রশাসন খাতে বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৯ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের প্রায় ২ শতাংশ।সরকারের চলমান ৭ মেগা মগা প্রকল্পের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বরাদ্দ ৫ হাজার কোটি টাকা। মেট্রোরেল প্রকল্পে বরাদ্দ ৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। পয়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে বরাদ্দ ১৫০০ কোটি টাকা।