প্রবাসী বাংলাদেশির সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ: প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে নালিশ

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: বিধবা এক প্রবাসী মহিলা বাংলাদেশে তাঁর মৃত স্বামীর সম্পত্তি দখলের অভিযোগ করেছেন। সম্পত্তি  উদ্ধারে লন্ডন বাংলাদেশ হাই কমিশনে এক অভিযোগ পত্র দায়ের করে সালেহা বেগম নামের ঐ প্রবাসী মহিলা বলেছেন, ‘প্রবাসীরা যদি এভাবে তাদের দেশের সম্পত্তি নিয়ে নিরাপত্বাহীনতায় ভুগেন, তাহলে  বিনিয়োগ করাসহ বাংলাদেশের প্রতি সব উৎসাহই  হারিয়ে ফেলবেন প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম।’  তিনি প্রবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ দূতাবাসে দাখিলকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মরহুম মো: ছাদেক আলীর বিধবা স্ত্রী সালেহা বেগম সিলেট জেলার বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি রোডস্থ  পারুল মঞ্জিলের মালিক হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত তা ভোগ দখল করে আসছিলেন। উক্ত ভূমি তাঁর স্বামী ছাদেক আলী ক্রয় করার সময় ক্রয়কৃত দলিলে দয়া পরবশ হয়ে তাঁর  ভাই মৃত আহাদ আলীর নামও অন্তর্ভূক্ত করেন এবং সে অনুযায়ী ভাগ করে ভাইকে তাহার হিস্বা বুঝিয়ে দেন। নালিশা ভূমিতে মৃত ছাদেক আলী ক্রমান্বয়ে দুইটি ঘর নির্মান করেন। পুরাতন ঘরে তার ভাই আহাদ আলী পরিবারের অন্যান্য সদস্য নিয়া বসবাস করতেন। তারা পৃথক হয়ে যাওয়ার পর ছাদেক আলী তাঁর ভাই আহাদ আলীকে তার নিজ অংশ বুঝিয়ে দিলে আহাদ আলী তার নিজ জায়গায় ঘর তৈরী করে চলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এমতাবস্থায় হঠাৎ করে আহাদ আলী মারা যান। মারা যাওয়ার সাথে সাথে আহাদ আলীর স্ত্রী ছাদেক আলীর সাথে পারিবারিক সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে নিজ দায়িত্বে চলতে থাকেন। ছাদেক আলী বাসা ছাড়ার কথা বললে, বার বার সময় নিয়ে বাসা ছাড়েন না।
গত ২০ মার্চ ২০২০  তারিখে ছাদেক আলী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে মারা যান। তারপরপরই মৃত আহাদ আলীর স্ত্রী বেকে বসেন ও কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে বাসা ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন। সালেহা বেগম তার ছেলেমেয়ে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। দেশে গিয়ে শক্তি প্রয়োগ করাও তার পক্ষে সম্ভব নয়। সেখানে তাদের বাসাবাড়ী দেখাশোনা করার জন্য নিযুক্ত একজন ভাগিনা রয়েছেন, যাকে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে নাজেহাল করে আসছেন অভিযুক্ত দখলদার আহাদ আলীর স্ত্রী। এমতাবস্থায় স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি উদ্ধারে সরকারের সাহায্য চেয়ে গত ১৬ আগস্ট ২০২০ইং তারিখে লন্ডন বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে একটি আবেদন করেন ভুক্তভোগী সালেহা বেগম। যার নাম্বার ১৯.০১.৪৪০১.৪০৫.০০.০০২,২০-৪৬।

সালেহা বেগমের আবেদনটি সিলেটের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিলেট বিভাগের প্রবাসী সেলের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ করে সম্পত্তি উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডন।

এদিকে, বাংলাদেশ হাই কমিশনে দায়েরকৃত ছালেহা বেগমের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত আহাদ আলীর স্ত্রী গং দের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

You might also like