প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পেলেন ব্যারিষ্টার আরশ আলী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকা: গণতন্ত্রী পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, প্রবীন রাজনীতিক ব্যারিষ্টার মোহাম্মদ আরশ আলী প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন। গত ২৩শে ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে প্রকাশিত এক গেজেটে ব্যারিষ্টার আরশ আলীকে এই স্বীকৃতি দেয়া হয়। তাঁর সাথে একই গেজেটে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খোন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও একই স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার সন্তান ব্যারিষ্টার আরশ আলী ১৯৭১ সালে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য লন্ডনে অধ্যায়নকালীন সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
সিলেটে সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ব্যারিস্টার মোঃ আরশ আলী মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যে বার-অ্যাট-ল ডিগ্রী অর্জনের জন্য পড়াশুনা করছিলেন। তাঁর এই অবস্হাকালিন সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের একজন নেতা হিসেবে, যুক্তরাজ্যে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদে সক্রিয় কর্মি হয়ে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাব পাশ, বাংলাদেশে গণহত্যা বন্ধ, পাকিস্তানে সব ধরনের সাহায্য বন্ধ ও বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন তিনি।
ঐসময় তৎকালীন ন্যাপ নেতা নিখিলেশ চক্রবর্তী, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মাহমুদ এ রউফ ও হাবিব রহমানসহ অন্যান্যরা ছিলেন ব্যারিষ্টার আরশ আলীর আন্দোলন সহযোদ্ধা।
এদিকে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়ায় বিভিন্ন মহলের পক্ষ থেকে বিপুলভাবে অভিনন্দিত হয়েছেন সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন এই নেতা। তাঁর নিজ রাজনৈতিক দল গণতন্ত্রী পার্টির পক্ষ থেক তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর পর হলেও ব্যারিষ্টার আরশ আলীকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেয়ায় আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ’।
গণতন্ত্রী পার্টি ছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ব্যারিষ্টার আরশ আলীর এই স্বীকৃতিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।