প্রস্তাবিত বাজেটে গরীব সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা নেই: মানববন্ধনে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ গত দেড় বছরে দারিদ্র্যের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।কোন কোন জরিপে এই হার ৪০ শতাংশের বেশি।২০১৯ সালে এই হার ছিল ২০ দশমিক ৫ শতাংশ। শহর এবং গ্রামের নতুন দরিদ্রের জন্য কোনো কর্মসূচি এবং তাদের কাজে ফেরানোর বাস্তব কোন পদক্ষেপ নেই । প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৬৮১ কোটি টাকার বাজেটে গরীব, সাধারণ ও মধ্যবিত্ত মানুেষর সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা নেই। করোনাকালেও যে কৃষকেরা খাদ্য উৎপাদন এবং সরবরাহ করে মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, সেই কৃষিখাতে ভর্তুকি পূর্ব অবস্থায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় রয়ে গেছে । বাস্তবে মুদ্রাস্ফীতির বিবেচনায় কৃষিতে ভর্তুকি কমে গেছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের আয়ের বৈষম্য, সম্পদের বৈষম্য ও ভোগের বৈষম্য দূরীকরণের কোন কথা নেই। অপরদিকে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধ করা হয়নি। সার্বিকভাবে ধনী আরো হবে, গরীব আরো গরীব হবে এই অবস্থা পরিবর্তনের কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা পরিলক্ষিত হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৪৬২ ডলার প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা । কতজন গরীব ও সাধারণ মানুষ মাথাপিছু আয়ের এই অঙ্কের কাছাকাছি বুঝতে পারবে ?
আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এই কথা বলেন । মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ন্যাপের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য প্রবীণ নেতা অ্যাডভোকেট এমএ ওহাব। বক্তব্য রাখেন ন্যাপ নেতা পরিতোষ দেবনাথ, এডভোকেট আমিনুল ইসলাম, হাসান কমরুন, নাসিমা হক রুবী, মোস্তফা মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক, সোহেল উদ্দিন তালুকদার টুটুল, দিপালী খন্দোকার, মাহাবুব আলম, গোলাম নবী মিঠু প্রমুখ।