প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন: দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সুনামগঞ্জের জগন্নাথাপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে সাধারণ জনগণের চলাচলের রাস্তায় দেয়াল তুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে। ৩ জুন শনিবার সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মোহাম্মদপুর নিবাসী মো. আজাদ মিয়া।তিনি জানান, এ রাস্তা দিয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ হাওড়ে ও কবরস্থানে যাতায়াত করে। এখানে আমাদের পারিবারিক ২টি ও গ্রামের ১টি কবরস্থান রয়েছে। সেখানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি।আদালতে মামলা চলমান থাকা স্বত্তেও গ্রামের চম্পা বেগম, মুহিত মিয়া, মুহিব মিয়াসহ একটি চক্র রাতের অন্ধকারে জবরদস্তিমূলক দেয়াল তুলে দিয়েছে।এতে এলাকার জনসাধারণের হাওড় ও গোরস্তানে যাওয়ার পথ রূদ্ধ হয়ে পড়ে।এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২মে এলাকাবাসী সম্মিলিত হয়ে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেন।এ কারণে গ্রামবাসীকে ‘সন্ত্রাসী’ তকমা দিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৫ সালে এ রাস্তা নিয়ে গ্রামের সালিশি ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে প্রথমে লন্ডন ও পরে বাংলাদেশে আপোষ মিমাংসা হয়। মুহিত ও মুহিবদের পক্ষ থেকে একটি অঙ্গীকারনামা লিপিবদ্ধ করা হয় যাতে স্পষ্ট লেখা আছে যে, ভবিষ্যতে কোনদিন উক্ত রাস্তায় চলাচলে বাঁধা দেয়া হবে না।অথচ এখন পরিকল্পিতভাবে দেয়াল তুলে দীর্ঘ ৫০ বছরের জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে এলাকাবাসীকে বন্দী করে রাখার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। উক্ত সড়কে ত্রাণ ও দূর্যোগ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতুও রয়েছে। মুহিত ও মুহিবরা উক্ত সেতুটি তাদের নিজস্ব মালিকানার বলে হাস্যকর দাবি করছে।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মুহিত ও মুহিবরা রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী দেয়াল জনস্বার্থে অপসারণকে সন্ত্রাসী হামলা বলে মূল ঘটনা আড়াল করার জন্য বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করে। তারা রাস্তায় দেয়াল অপসারণকে তাদের বাড়ি দখলের চেষ্টা বলে মিথ্যাচার করছে। তারা বিভিন্ন গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের অবৈধ কর্মকান্ডকে বাড়ি দখল বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
এ চক্রের অপতৎপরতা ও মিথ্যাচারে এলাকাবাসীর সামাজিক, পারিবারিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা।