ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় ভবনের কাজ ৫ বছরেও শেষ হয়নি

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকে: ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া ১৮ মাসের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও সম্পন্ন হয়নি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ তলার নতুন ভবনের কাজ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কাজ শেষ করার জন্য সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে বারবার ধর্ণা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে চরম অস্বস্তিতেও পুরাতন ভবনে চলছে পাঠদান।

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় ২০১৮ সালে আবুল ফজল চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়টি ৩ হাজার স্কুল প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে একটি উর্ধ্বমুখী ৪ তলা ভবন নির্মাণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এজন্য ২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয়। অর্থ বরাদ্দের পর ২০১৮ সালের ৩ নভেম্বর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের এমপি উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ।

ভবনের কাজ শেষ করার জন্য ১৮ মাস সময় নির্ধারণ করে ২০১৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। ২০১৯-২০ সালে দু’তলা পর্যন্ত আংশিক কাজ সম্পন্ন হলেও বর্তমানে প্রায় ৩ বছর থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করলেও কার্যতঃ কোন ফলোদয় হয়নি। ফলে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় পাঠদানে বিঘœ ঘটছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা একটি ভবন পেয়েছিলাম। কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছর ধরে কাজ বন্ধ আছে। আমরা জানিনা কেন কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক কষ্ট করে অবকাঠামো সংকট নিয়ে পাঠদান চলছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রভাষক আব্দুল আহাদ বলেন, গত ৩ বছর ধরে আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার যোগাযোগ করেও কাজ হচ্ছেনা। অবকাঠামো সংকট থাকায় বহুবার আবেদন করে একটি ভবন পেয়েছি। ভবনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য আমরা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে বারবার চিঠি দিয়েছি। আমাদের বিদ্যালয়ের অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করা খুবই জরুরী।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, কাজ শুরুর কিছুদিন পর করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কাজ বন্ধ রাখা হয়। করোনা দুর্যোগের পর রড-সিমেন্টসহ নির্মাণসামগ্রির দাম অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার জন্য আর কাজ করানো হয়নি। জিনিসপত্রের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার কাজ শুরু করবো।

মৌলভীবাজার শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ দেখিয়ে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছেন। করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা যায়নি। কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই আবার কাজ শুরু হবে।

You might also like