ফিলিস্তিনের জন্য মিছিল:দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর,লুটপাট

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে সোমবার দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন।সিলেট,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার, বগুড়াসহ অন্তত পাঁচটি জেলায় কেএফসি, পিৎজা হাট ও বাটার শোরুমসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা,ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।সরকার কোনো আইনি আন্দোলনে বাধা দিচ্ছে না।গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে বাংলাদেশের কেএফসি,বাটা,পিৎজা হাটসহ এক ডজনেরও বেশি রেস্তোরাঁ এবং শোরুমে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, গাজীপুর এবং বগুড়া জেলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাগুলো ঘটেছে বলে  জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।এর মধ্যে সিলেটে বাটার একটি শোরুমে হামলার পর লুটপাট করা হয়েছে।এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া পাওয়া না গেলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকাসহ অনেক স্থানে হামলার শিকার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত করেছে।সোমবার সন্ধ্যার পর ঢাকার কোনো এলাকায় কেএফসি’র শাখা বন্ধ রাখার খবর পাওয়া গেছে।পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কোম্পানি থেকে আজকের জন্য (সোমবার) আমাদেরকে আউটলেট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,জানান উত্তরা শাখার একজন কর্মকর্তা।এদিকে, বিভিন্ন জেলায় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক জুতা কোম্পানি বাটা।

“আমরা আমাদের দোকানে আক্রমণের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাই।দেশের বিভিন্ন এলাকায় আমাদের অনেকগুলো দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে ও মালামাল চুরি করা হয়েছে।একটি স্বনামধন্য বহুজাতিক কোম্পানির বিরুদ্ধে এই ধরনের আচরণ নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক।বর্তমানে আমরা এসব ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছি,”সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বাটা কর্তৃপক্ষ।হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেবল সিলেটে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।গাজায় হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ কিছু গ্রুপ ও পেজে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে প্রচারণা চালাতে দেখা যাচ্ছে।ওই প্রচারণায় সাড়া দিয়ে বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ কেএফসি ও বাটার শোরুমে হামলা চালিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

You might also like