বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধায় ও যথাযথ মর্যাদায় স্মরণ করলো বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
লন্ডনঃ ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারী বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন তাঁর স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১০ই জানুয়ারী ২০২৪ বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে আয়োজিত হয় একটি স্মারক অনুষ্ঠান এবং এক প্রাঞ্জল আলোচনা সভা।আলোচনা অনুষ্ঠানে আগত বৃটিশ বাংলাদেশী বিশিষ্ট অতিথিদবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ অর্পন করেন হাইকমিশনার।আলোচনা সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ‘৭৫ এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে শাহাদাৎ বরণকারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দের জন্য এবং ‘৫২র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে থেকে শুরু করে ১৯৭১ এর পর্যন্ত মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও উন্নতি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে হাই কমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বলেন, “১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পরিপূর্ণতা পায়। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ দীর্ঘ ২৪ বছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পর্বতপ্রমাণ বাধা অতিক্রম করে ইসলামিক পাকিস্তান থেকে মুক্ত করে বাঙালী জাতিকে উপহার দেন একটি স্বাধীন সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র, বাংলাদেশ।তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক বাংলাদেশের স্বীকৃতি অর্জনসহ প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সাথে Land Boundery Agreement স্বাক্ষর করেন এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুদৃঢ় করেন। দেশ স্বাধীনের মাত্র এক বছরের মধ্যে বিশ্বের ইতিহাসে অনবদ্য এক লিখিত সংবিধান দেশবাসীকে উপহার দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আত্মমর্যাদাশীল দেশপ্রেম ও পররাষ্ট্র নীতিকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের মাধ্যমে টানা চতুর্থবারের মতো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আজ এই ২০২৪ সালের ১০ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদে শপথ গ্ৰহণ করেছেন এবং জাতির পিতার আদর্শে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পানে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পূনর্ব্যক্ত করেছেন। হাই কমিশনার ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিদের অসামান্য অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন এবং জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে ৮ ও ৯ই জানুয়ারী ১৯৭২ -এ লন্ডন সফরসহ সব সময় বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন এবং সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।হাই কমিশনার তাসনীম নতুন প্রজন্মের বৃটিশ-বাংলাদেশীদের প্রতি ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসার এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও অসাম্প্রদায়িক ধারা অক্ষুন্ন রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।আলোচনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশী-ব্রিটিশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, প্রথিতযশা সাংবাদিক-কলামিস্ট সৈয়দ বদরুল আহসান এবং কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আব্দুল আহাদ চৌধুরী।আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ঐতিহাসিক ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।