বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে আনার জোর প্রক্রিয়া চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

মেহেরপুর: বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনির এখনও যারা জীবিত আছে,তার মধ্যে দুইজনের সন্ধান মিলেছে। একজন আমেরিকায় অন্যজন কানাডায় আছেন।মুজিববর্ষে এই দুই খুনির একজনকে চলতি বছরই দেশে আনার জোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।তিনি বলেন,যাদের আনতে পারছি না সেক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোকে বলেছি, অন্তত মাসে একবার লোকজন নিয়ে ওই সমস্ত খুনির বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান করতে।যেন জনগণের কাছে ধিকৃত হয়।আজ শনিবার মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর পরিদর্শনকালে মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে আনার সম্ভাবনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় মন্ত্রী মেহেরপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।পরে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্স এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রথমেই তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আরিস্কারে ভারত এবং পাকিস্তান দুটি দেশই অন্যদেশের সাথে যৌথভাবে গবেষণামূলক কাজ শুরু করেছে। সেখানে আমরা কারো সাথে কাজ শুরু করতে পারলাম না, এটা দুঃখজনক। আমরা ভ্যাকসিন পেতে ইউরোপিয়ানে অনেক টাকা দিয়ে রেখেছি।

তিনি বলেন,চীন বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দিবে এবং প্রায় ৮ হাজার বেশি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে।এটা নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোন বিতর্ক তৈরি হয়নি। এটাকে নিয়ে কেউ কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে।ভারতের সাথে সুমদ্র, সীমান্ত, নিরাপত্তাসহ আমাদের বড় ধরনের সব সমস্যা দূর হয়েছে। ছোট কিছু সমস্যা ঝুলে আছে। ঠিক হয়ে যাবে। মনে রাখবেন ভারতের সাথে আমাদের রক্তের সম্পর্ক।আর চীনের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক।ভারত-চীনের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর আমরা ভারতকে নিয়ে ৫০ বছর পূর্তি উৎসব করব। কেননা আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয়। আবার ভারতের বিজয় মানে আমাদের বিজয়।পরে, মন্ত্রী মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্স এলাকা ঘুরে দেখে ঢাকার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর ত্যাগ করেন।

You might also like