‘বঙ্গবন্ধু গৃহে না ফিরে গেলেন গণমানুষের কাছে’

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব এলেন,পা রাখলেন দেশের মাটিতে। গৃহে না ফিরে মানুষের নেতা গেলেন গণমানুষের কাছে।স্ত্রী-সন্তানের ভালোবাসার টান পেছনে ফেলে, বুকে তুলে নিলেন জনতার স্পর্শ। স্বাধীনতার মহাকবির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে মূল্যায়ন করে একথা বলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী।ঘরে অপেক্ষমান প্রিয়তমা স্ত্রী। প্রিয় সন্তানেরা আকুল হৃদয়ে পথ চেয়ে আছে এই বুঝি পিতা এসে জাপ্টে ধরবেন তার বিশাল বুকে। তিনি এলেন, স্বদেশের পবিত্র মাটি ছুঁয়েই মিশে গেলেন জনতার সমুদ্রে।

লন্ডনপ্রবাসী বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলেন, ‘তিনি নিজেই বলতেন আমাকে কেউ নেতা বানায়নি, আমি চুঙ্গা ফুঁকে মানুষের সমর্থনে নেতা হয়েছি। তিনি যখন ফিরে এলেন, নেতা হিসেবে শুধু ফেরেননি তিনি গণমানুষের নেতা হয়েই ফিরেছেন। ‘আমার শক্তি হচ্ছে মানুষকে ভালবাসা, আমার দুর্বলতা হচ্ছে মানুষকে ভালবাসা’- কোন মানুষ, বাংলাদেশের মানুষই শুধু না সারাবিশ্বের নির্যাতিত মানুষ। এই জন্যই তাকে বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু আখ্যা দেওয়া হয়েছিল।’

বহুদিন পর মানুষের কাছে ফিরেছেন মানুষের নেতা। অন্যদের মতোই আমজনতার ভিড়ে পিতাকে দেখার জন্য অপেক্ষমান শেখ কামালের হাত ধরে শেখ রাসেল। জনতার নেতা জনস্রোতের আহবানে মিশে গেলেন অপেক্ষমান মানুষের ভালোবাসার স্রোতে।আব্দুল গাফফার চৌধুরী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জানতেন দেশে ফিরে এসে সোজাসুজি পৌত্তলিকাতে যান এটা তাঁর স্ত্রীও আশা করেন না। গণমানুষের সাথে ধান ক্ষেতে হেঁটেছেন, রৌদ্র-বৃষ্টিতে ভিজেছেন। এই মানুষটি যখন ফিরে এসেছেন আবার গণমানুষের সঙ্গে মিশে গেছেন।’

দেশের সব মানুষকেই স্বজন মানতেন বঙ্গবন্ধু। দেশে ফিরে সবার আগে তাই প্রিয় দেশবাসীর স্পর্শ খুঁজেছিলেন মানবমুক্তির নেতা; বাঙালির জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।এই বিশিষ্ট লেখক ও সাংবাদিক বলেন, ‘আমাদের যে তরুণ প্রজন্ম ছিল, স্বাধীনতা সংগ্রামে যে তরুণ প্রজন্ম ছিল- আজকে তারা বিভ্রান্ত। বঙ্গবন্ধুর নামে সব জায়গায় দিবস হচ্ছে, অনুষ্ঠান হচ্ছে, তাঁর ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা হচ্ছে- সবকিছুই হচ্ছে, যেটা হয়নি আদর্শের প্রতিষ্ঠা। এই আদর্শকে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর এক হাজার ভাস্কর্য প্রতিষ্ঠা করা হলেও কিছু হবে না। তাই এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিন হোক তাঁর আদর্শের প্রত্যাবর্তনের দিন।’

You might also like