বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠন প্রয়োজন: তথ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনে কমিশন গঠন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা দিনের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বর্তমান সভাপতি মোল্লা জালাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরে বলে আসছিলাম, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে শুধু যারা সামনে থেকে অংশগ্রহণ করেছে, তাদের মাধ্যমেই যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা নয়। সদ্য স্বাধীন একটি দেশকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, সেই দেশি-বিদেশি চক্রের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পটভূমি রচনা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বিরাট একটি ষড়যন্ত্র ছিল। সেই ষড়যন্ত্রের অনেক নট-নটি ছিল। সুতরাং, এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন হওয়া প্রয়োজন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যদি সেটা না করা হয় তাহলে আজ থেকে শতবর্ষ পরে যে ইতিহাস লেখা হবে, সেখানে কুশীলবদের নাম থাকবে না। কারা এই ষড়যন্ত্র করেছিল, তাদের সম্পর্কে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রজন্ম জানতে পারবে না, পৃথিবীর ইতিহাস সেটি জানতে পারবে না। তাই শত শত বছর পরের ইতিহাসে যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের নাম লিপিবদ্ধ থাকে, ইতিহাসকে সত্য জানাতে হয়, সেজন্য এবং ইতিহাসের সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে, ভবিষ্যতের জন্য সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজনে আমি মনে করি, আপনারা মনে করেন, দেশের মানুষ মনে করেন, হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের স্বার্থে একটি কমিশন করা প্রয়োজন। যারা জীবিত আছে, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা। এটি না হলে ইতিহাসের কাঠগড়ায় হয়তো আমাদেরও দাঁড় করানো হতে পারে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তিনি সাড়ে তিন বছরের মাথায় একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করিয়ে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই তাকে হত্যা করা হয়। যে বছর তাকে হত্যা করা হয়, সে বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৪ শতাংশ এবং তখন বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছিল। অনেক পরিসংখ্যান মতে, সে বছর ১০ হাজার মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। দেশ যাতে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য বঙ্গবন্ধু অনেক আইন করেছিলেন এবং সেসব আইনের ভিত্তিতেই আমরা পরবর্তীতে সমুদ্রসীমা, স্থলসীমা, তেল-গ্যাস ক্ষেত্রে নিজেদের অধিকারসহ অনেক কিছু অর্জন করেছি।’