বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার-এমপি মানিক
শামীম আহমদ তালুকদার
সত্যবাণী
সুনামগঞ্জ থেকেঃ ২০২০-২০২১ বাজেট অধিবেশনের প্যানেল স্পিকার ও সুনামগঞ্জ (৫) ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হতে থাকে। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা পাঁয়তারা করে। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও যেন নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করেছিল মোশতাক সরকার। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হলে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত করা হয়। বিচার শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাঙালি জাতির ললাটে যে কলঙ্কতিলক পরিয়ে দেয়া হয়েছিল, ৩৫ বছরেরও বেশি সময় পর ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সেই কলঙ্ক থেকে জাতির মুক্তি ঘটে। বঙ্গবন্ধু হত্যার চূড়ান্ত বিচারের রায় অনুযায়ী ওই দিন মধ্যরাতের পর পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় আরও কয়েকজন খুনির সাজা এখনও কার্যকর করা যায়নি।
গত মঙ্গলবার (২৫ আগষ্ট) যুক্তরাজ্যের ইপসুইচ এন্ড সাফোক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ভার্চুয়াল শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।সংগঠনের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবুল লেইসের সঞ্চালনায় অনুষ্টিত ভার্চুয়াল সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বিশ্বনাথ বালাগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরী।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এস এম সুজন, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক সারব আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ সুরুক আলী, সহ দপ্তর সম্পাদক লুৎফুর রহমান সায়াদ, কভেন্ট্রি আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মকদ্দুছ আলী, সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল খান, যুক্তরাজ্য তাঁতী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইপসুইচ এন্ড সাফোক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সৈয়দ গোলাম রব্বানী, সহ-সভাপতি ফয়েজ আহমদ,সহ সভাপতি আবদুর রহিম, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাছিত লিমন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আলী হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আব্দুল হামিদ, কোষাধক্ষ্য আব্দুল বাতিন প্রমুখ।