বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ সড়ক সংস্কার হয়নি একটাও

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যার ক্ষত এখনো যেন বয়ে বেড়াচ্ছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মানুষ। এই উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪ সড়কের একটিতেও সংস্কার হয়নি। এরমধ্যে ২০ গ্রামীণ সড়ক খুবই বেহাল অবস্থায়। এক বছরেও সংস্কার না হওয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন এসব ভাঙাচোরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। অনুমোদন ও বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৮৪টি সড়কে সর্বমোট ১৮০ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা।উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, গেল বন্যায় এলজিইডি আওতাধীন জগন্নাথপুর উপজেলার ৮৪টি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরমধ্যে কলকলিয়া-তেলিকোনা-চন্ডিডর, মজিদপুর-এরালিয়া, ভবেরবাজার-সৈয়দপুর কাঁঠালখাইর, শিবগঞ্জ-বেগমপুর, শিবগঞ্জ-দোস্তপুর সড়ক, আলমপুর-রৌয়াইল, লামা রসুলগঞ্জ-লাউতলা, কেশবপুর- রসুলগঞ্জ সড়কসহ প্রায় ২০টি গ্রামীণ সড়ক মারাত্মক ক্ষতিসাধিত হয়। যেগুলোর একটিতেও সংস্কার কাজ করা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত এসব সড়ক আরও খারাপ হচ্ছে দিনকে দিন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, গতবছর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জগন্নাথপুরের সব ক’টি সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পানি নেমে গেলেও ব্যাপক ক্ষতি হয় রাস্তা-ঘাটের। ভাঙন ও খানাখন্দে বেহাল সড়কগুলো। সড়কগুলোতে ছোট-বড় অসংখ্যা গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কে সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে একাকার হয়ে যায়। যে কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।কলকলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলাল হোসেন রানা জানান, গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় কলকলিয়া-চ-িডর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বালিকান্দি নতুনপাড়া সড়কের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া শ্রীধপাশা সেতু পানির স্রোতে নিচের দিকে ধেবে গেছে। গত একবছরে এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ও সেতুতে সংস্কার কাজ হয়নি। ফলে জনসাধারণ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।পাটলী ইউনিয়নের তাউলতা গ্রামের জিয়া মিয়া জানান, বন্যার ক্ষত এখনো সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাসছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কার কাজ না হওয়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েছে।উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ও সড়কগুলোর ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

You might also like