বন্যায় সিলেটে বাড়ছে রোগবালাই
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ সিলেটে বন্যার পানি কমলেও দেখা দিয়েছে নানা ধরণের রোগবালাই। নগরের যেসব এলাকায় কোমরপানি ছিল এখন সেখানে পানি নেই বললে চলে। আবার কোথাও কোথাও হাঁটুসমান পানি রয়েছে। পানি কমতে শুরু করায় বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষের শরীরের দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব রয়েছে। সিলেট নগরের বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা পানিতে নর্দমার পানিও মিশে থাকায় কালো রং ধারণ করে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তবে জেলার বিভিন্ন উপজেলা নীচু এলাকা এখনো প্লাবিত রয়েছে।সরেজমিনে সিলেট নগরীর কমালগড়, ঘাসিটুলা, ছড়ারপাড় এলাকায় দেখা যায়, পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে চলছে। বিশেষ করে জ্বর, সর্দি, কাশি, চর্মরোগ ও ডায়রিয়ায় মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সরবরাহকৃত পানির মধ্যে এখনো দুর্গন্ধ রয়েছে। এসব পানি ফুটিয়ে খেতে হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে।
ঘাসিটুলার আরজু মিয়া বলেন, সরকারি কোনো চিকিৎসা সেবা আমরা এখনো পাইনি। মানবিক টিম সিলেট নামে একটি সংগঠন গতকাল আমাদেরকে খাবার পানি, ওষুধ দিয়েছে। হাত পায়ে চুলকানি ও ডায়রিয়া হয়েছে পরিবারের দু’জনের।ছড়ারপাড়ের আনিছ বলেন, ঘরের মধ্যে এখনো পানি রয়েছে। চারদিকে ময়লা পানি পড়ে আছে। দুর্গন্ধের জন্য খুব কষ্টে আছি। আর লাইনের পানি খাওয়া যায় না।সিলেট সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানি নেমে যাওয়ার পর সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা শাখা পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মশা-মাছি ও কীটপতঙ্গ নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানো এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন এস এম শাহরিয়ার জানান, সিলেট জেলা ও নগরের বন্যাকবলিত এলাকায় ১৪০টি চিকিৎসা দলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১১ হাজার বানভাসি মানুষকে নানা ধরনের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পানিবাহিত রোগ এড়াতে পানি বিশুদ্ধকরণ বড়ি বিতরণও করা হচ্ছে। গতকাল নতুন করে ৪৩ জন ডায়রিয়ায়, ২ জন শ্বাসকষ্টে এবং ৩ জন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জেলায় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন ৫৩ জন।