বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও বঙ্গবন্ধু অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও অনুকরণীয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

ঢাকাঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতির ক্ষেত্রেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক আদর্শ,দূরদর্শিতা,নীতি ও মূল্যবোধ অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও অনুকরণীয়।মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ-বিআইআইএসএস আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং সমসাময়িক বিশ্বে এর প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,নব্য স্বাধীন হওয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরও বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।তিনি সারাজীবন ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছেন,যা এখন সমসাময়িক বিশ্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সহিংসতা ও যুদ্ধ বিগ্রহের বড় কারণ অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা। পরমত সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, ‘ধর্ম, গোত্র নির্বিশেষে সবার প্রতি ছিল তাঁর অগাধ ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধু তাঁর শত্রুকেও শ্রদ্ধা করতেন। বঙ্গবন্ধুর বিরোধী পক্ষও তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব ও মানবিক গুণাবলীর প্রশংসা করতেন। জাতির পিতা তাঁর জনগণকে ভালোবাসতেন, যা ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় শক্তি ও দুর্বলতা।’

ড. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাতির পিতার মতো দূরদর্শী নেতৃত্ব পৃথিবীর খুব কম ব্যক্তিই অর্জন করতে পেরেছেন। বঙ্গবন্ধু সত্যিকারের গণমানুষের নেতা ছিলেন এবং ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন। এ মহান নেতা তাঁর স্বপ্নকে অনুসারীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন। আমরা এখনও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা অর্জনে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

সেমিনারে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম। ‘আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন’ বিষয়ে বঙ্গব্ন্ধুর অবদান নিয়ে আলোচনা করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জমির। ‘আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তা’ নিয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। ‘পররাষ্ট্রনীতি এবং কূটনীতি’ বিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। ‘অর্থনীতি এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন’ নিয়ে আলোচনা করেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং ফেলো অধ্যাপক ড. সেলিম জাহান।স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্র গঠনে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন, মধ্যপ্রাচ্য, আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে তাঁর অবদানের কথাও আলোচনায় উঠে আসে। ওয়েব সেমিনারে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, রাষ্ট্রদূত, জ্যেষ্ঠ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেন।

You might also like