বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে নির্মূল কমিটির শোক প্রকাশ
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকার নকশা প্রণয়নকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ‘একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’। আজ সংগঠনের এক শোক বিবৃতিতে বলা হয়‘স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার, জাসদ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস শুক্রবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।তিনি ভাষাসংগ্রামী শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের হাত ধরে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা ঘটে ৫০-এর দশকে। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন অংশগ্রহণ করে তিনি কারাবরণ করেন। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ও নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে ১৯৭০ সালের ৭ জুন ঢাকার পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত ছাত্রদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকার নকশা প্রণয়ন করেন তিনি।
শিবনারায়ণ দাসের বাবা সতীশচন্দ্র দাশ কুমিল্লাতে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি হানাদাররা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করে।
‘শিবনারায়ণ দাসের মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্বের এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবার পাশাপাশি আমরা তাঁর পরিবারের শোকসন্তপ্ত সকল সদস্য ও সহযোদ্ধাদের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি।স্বাক্ষরদাতা বিচারপতি শামসুল হুদা, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, সমাজকর্মী মালেকা খান, শিল্পী হাশেম খান, শিল্পী রফিকুননবী, অধ্যাপিকা মাহফুজা খানম, জননেতা ঊষাতন তালুকদার, চলচ্চিত্রনির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, অধ্যাপক ডাঃ কাজী কামরুজ্জামান, ক্যাপ্টেন (অবঃ) আলমগীর সাত্তার বীরপ্রতীক, ক্যাপ্টেন (অবঃ) সাহাবউদ্দিন আহমেদ বীরউত্তম, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আবদুর রশীদ (অবঃ), অধ্যাপক ডাঃ আমজাদ হোসেন, ড. নূরন নবী, লেখক সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, শহীদজায়া সালমা হক, কলামিস্ট সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ, শিক্ষাবিদ মমতাজ লতিফ, অধ্যাপক শিল্পী আবুল বারক আলভী, মানবাধিকার নেত্রী আরমা দত্ত এমপি, সমাজকর্মী কাজী মুকুল, কথাশিল্পী অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে, আবৃত্তিশিল্পী মোঃ শওকত আলী, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, ডাঃ ইকবাল কবীর, সমাজকর্মী সুব্রত চক্রবর্ত্তী, ভূতত্ত্ববিদ মকবুল-ই এলাহী চৌধুরী, সমাজকর্মী শফিকুর রহমান শহীদ, এডভোকেট আবদুস সালাম, অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, অধ্যাপক আবদুল গাফ্ফার, কবি জয়দুল হোসেন, সমাজকর্মী কাজী লুৎফর রহমান, সমাজকর্মী কামরুননেসা মান্নান, এডভোকেট আজাহার উল্লাহ্ ভূঁইয়া, অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া, সঙ্গীতশিল্পী জান্নাত-ই ফেরদৌসী লাকী, সাংবাদিক শওকত বাঙালি, অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, লেখক আলী আকবর টাবী, এডভোকেট কাজী মানছুরুল হক খসরু, এডভোকেট দীপক ঘোষ, অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট ড. কানিজ আকলিমা সুলতানা, ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন, শহীদসন্তান তৌহিদ রেজা নূর, শহীদসন্তান শমী কায়সার, শহীদসন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়, শহীদসন্তান তানভীর হায়দার চৌধুরী শোভন, মানবাধিকারকর্মী তরুণ কান্তি চৌধুরী, লেখক সাংবাদিক সাব্বির খান, মানবাধিকারকর্মী আনসার আহমদ উল্লাহ, মানবাধিকারকর্মী স্বীকৃতি বড়ুয়া, লেখক অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট অমি রহমান, সংস্কৃতিকর্মী পিন্টু সাহা, এডভোকেট আবদুল মালেক, লেখক কলামিস্ট মিথুশিলাক মুর্মু, কলামিস্ট অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট লীনা পারভীন, মানবাধিকারকর্মী রহমান খলিলুর, সমাজকর্মী হারুণ অর রশীদ, এডভোকেট মালেক শেখ, সহকারী অধ্যাপক তপন পালিত, সাংবাদিক দিলীপ মজুমদার, সমাজকর্মী রাশেদুল ইসলাম, সমাজকর্মী ইস্রাফিল খান বাপ্পি, সমাজকর্মী শিমন বাস্কে, সমাজকর্মী শেখ আলী শাহনেওয়াজ পরাগ, সমাজকর্মী সাইফ উদ্দিন রুবেল, লেখক ও চলচ্চিত্রনির্মাতা শাকিল রেজা ইফতি, সমাজকর্মী ফয়সাল হাসান তানভীর প্রমুখ।