বাংলাদেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় ডিজিটাল এক্ট বাতিলের দাবি ‘ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ’র

প্রেসরিলিজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডন: ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্ট  বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করেছে।  বিচার বিভাগ এবং মানবাধিকার উভয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন এই আইনের কারণে বিশ্বব্যাপি সমালোচিত।  প্রবাসী বাংলাদেশিদের অধিকার সংগঠন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশীজ নির্বাহী কমিটির সভায়  বক্তারা বাংলাদেশে ডিজিটাল আইন ও বাকস্বাধীনতা প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার (৮ মার্চ) ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাজ্য ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং আমেরিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাহী কমিটির সদস্যরা সভায় যোগ দেন ।
সংগঠনের চেয়ার ড. এম হাসনাত হোসাইন এমবিই’র সভাপতিত্বে ও ডিজি অহিদ আহমেদ’র সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন,  সহ-সভাপতি ডক্টর ওয়ালি তসর উদ্দিন, মাহিদুর রহমান, আব্দুল লতিফ জেপি, ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ, ব্যারিস্টার নজরুল খসরু, অস্ট্রেলিয়া থেকে ড. সুমায়ের চৌধুরী,  যুক্তরাষ্ট্র থেকে শরাফত হোসাইন বাবু, যুক্তরাজ্যের  প্রফেসর আব্দুল কাদের সালেহ, মাহতাব মিয়া, সাংবাদিক আবু তাহের চৌধুরী, শামসুল আলম লিটন, প্যারিস থেকে এ এম সি রুমেল প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে এই আইনটি অবৈধ বলে আইন বিশেষজ্ঞরা তাঁদের মতামত দিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের যে অঙ্গীকার তার সঙ্গে এই কালো আইন সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।  তাছাড়া সম্প্রতি বিচারের মানদণ্ড বিবেচনায় আন্তর্জাতিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২৮ টি দেশের মধ্যে ১১৫ তম স্থানে নেমে যাওয়ায় ক্ষেত্রে এই আইনটিকে দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।  এছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বারবেক ইউনিভার্সিটির গবেষণায় দেখা গেছে , বাংলাদেশে ৭৭ শতাংশ কারাবন্দী বিনা বিচারে জেলখানায় আছে । দীর্ঘসময় বিনা বিচারে জেলে রাখা মানবাধিকারের পরিপন্থী। কিন্তু ডিজিটাল আইন পুলিশকে এই বেআইনি এক্তিয়ার দিয়েছে বলেই কারাগারে নির্যাতনে মোস্তাক আহমেদের মতো প্রতিভাবান মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে।
 বক্তারা বলেন মোস্তাক আহমেদের জীবন দান এর মধ্য দিয়ে সমগ্র মানুষের বিবেক জেগে উঠেছে এবং এই আইনটি বাতিলের জন্য সোচ্চার হয়েছে। বক্তারা বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে হলেও  সরকারের প্রতি এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। প্রবাসীরা দেশে অনিয়মের শিকার হয়েও কথা বলতে ভয় পান এই আইনের কারণে। এই আইনের কোনো ভৌগোলিক সীমারেখা নেই. যারফলে বিশ্বের যে কোনো দেশে থাকা প্রবাসীদের বাকস্বাধীনতাও এই আইন কেড়ে নিয়েছে।
এই আইনে আটক এবং নির্যাতনের শিকার সকলকে অবিলম্বে মুক্তি দান এবং দেশে মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রেকর্ড উন্নয়নে সরকারকে অবদান রাখার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, এক্ষেত্রে সরকারের যে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগকে প্রবাসীরা সর্বাত্মক সহায়তা করতে বদ্ধপরিকর।
সভায় বক্তারা সরকারের প্রতি এই আইন বাতিল অথবা অবিলম্বে বেআইনি ধারাগুলোকে সংশোধনের জোর দাবি জানান।
You might also like