বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ইউকের দ্বিতীয় উচ্চতম ভবনে লাল-সবুজের বিশেষ আলোকসজ্জা

নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী

লন্ডনঃ  টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার আহবাব হোসেনের উদ্যোগে এবং ক্যানারী ওয়ার্ফ গ্রুপের সহায়তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় উচ্চতম ভবনে লাল-সবুজের বিশেষ আলোকসজ্জা করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম এবং ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী স্যার জর্জ আইকোবেসকু সিবিই এ লাল-সবুজের বিশেষ আলোকসজ্জার উদ্বোধন করেন। এসময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় সংগীত বাজানোর সাথে সাথে উদ্বোধনী মঞ্চ ও সংলগ্ন ফোয়ারায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার লাল এবং সবুজ রঙে এক আকর্ষণীয় আবহ তৈরি করা হয়। ২৯ মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের সদর দপ্তর ‘ওয়ান কানাডা স্কয়ারে’ এ বিশেষ আলোকসজ্জার উদ্বোধনের পর হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকীতে লন্ডনের ঐতিহাসিক টাওয়ার হ্যামলেটস-এর ক্যানারি ওয়ার্ফে লাল-সবুজের বিশেষ আলোকসজ্জার উদ্বোধন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত”। হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে লন্ডন হাই কমিশনের উদ্যোগে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে, টাওয়ার হ্যামলেটস মেয়রের অফিস ‘টাউন হল’-এ এবং ব্রমলি পাবলিক হল-এ বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যার জর্জ আইকোবেসকু আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিগত এক দশকে বাংলাদেশের অসামান্য উন্নয়নের এবং যুক্তরাজ্যে প্রবাসী ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের সাফল্য ও কৃতিত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাওয়ার্ড ডোওভার, টাওয়ার হ্যামলেটস বারার মেয়র জন বিগস, ক্যানারি ওয়ার্ফ গ্রুফের ডাইরেক্টর জাকির খান এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সংস্কৃতি বিষয়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর সাবিনা আক্তার, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ আয়োজনের উদ্যোগতা টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর মোহাম্মদ আহবাব হোসেন বলেন, আমরা প্রবাসে বসবাস করলেও বাংলাদেশকে আমরা প্রাণে ধারণ করি। আর বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে এমন একটা আয়োজন করতে পেরে নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। তিনি আরও বলেন, আমার এ বারায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীর বসবাস, আর আমাদের মতো বাংলাদেশীরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসিদের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

You might also like