বানিয়াচং থেকে একদিনে ৩টি লাশ উদ্ধার

সিলেট অফিস 
সত্যবাণী
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাওরে নিখোঁজ নৌকার মাঝি চান মিয়া (৩২) সহ একদিনে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর সেগুলো ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
৬ জুলাই শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক পৃথক স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে একজন নৌকার মাঝি ছাড়াও দু’জন নারী রয়েছেন।
বানিয়াচং থেকে সংবাদদাতা জানান, ৫ জুলাই শুক্রবার সকালে বানিয়াচংয়ের হাওরে নৌকা দিয়ে ঘুরতে যায় একদল ভ্রমন পিপাসু যুবক। ঘুরাঘুরির একপর্যায়ে নৌকাটি কাগাপাশা ইউনিয়নের হলিমপুর হাওরে পৌছুলে অসাবধানতাবশত নৌকার মাঝি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। পরে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরিদল স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। চান মিয়া বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউনিয়নের বাতাকান্দি গ্রামের মৃত সামছু মিয়ার পুত্র।
অপরদিকে, বানিয়াচং উপজেলা সদরের ১নং উত্তর-পশ্চিম ইউনিয়নের কামালখানী মহল্লায় বাড়ির পাশে একটি জলাশয়ে রুমা আক্তার (১৮) নামে এক কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এছাড়াও উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আড়িয়ামুগুড় এলাকা থেকে শিপ্রা রাণী দাস (২৩) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন জানান, ৩ জনের মধ্যে চান মিয়া নৌকার মাঝি ছিল। সে শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ডুবুরিদল তার মরদেহ হাওরে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেছে। এছাড়াও রুমা আক্তার একজন মৃগী রোগী ও শিপ্রা রাণী মানসিকভাবে অসুস্থ ছিল বলে জানতে পেরেছি। বিষয়গুলো পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

You might also like