বাফুফে নির্বাচন: ভোট গ্রহণ শুরু

নিউজডেস্ক
সত্যবাণী

স্পোর্টস ডেস্কঃ সামনের চার বছরের জন্য ১৩৯ জন কাউন্সিলর তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি ঠিক করবেন।নির্বাহী কমিটির ২১ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন ৪৭ প্রার্থী। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ২, সহ-সভাপতি পদে ৮ আর সদস্য পদে ৩৪ জন প্রার্থীর নির্বাচনে লড়বেন।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে আবদুস সালাম মুর্শেদীকে ভোটের ময়দানে লড়তে হবে সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মো.আসলামের সঙ্গে। চার সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আটজন।

তারা হলেন- মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, তাবিথ আউয়াল, শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান, এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ, কাজী নাবিল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, আতাউর রহমান ভূঁইয়া ও ইমরুল হাসান।

২০০৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি হন কাজী সালাহ্উদ্দিন। বর্তমানে ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১৮৭ তে রয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর মে মাসে ১৯৭ তে নেমে গিয়েছিল লাল-সবুজরা। ১২ বছর আগে সালাহ্উদ্দিন যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন তখন বাংলাদেশের ফিফা র‌্যাংকিং ছিল ১৫০-এর নিচে। এরপর ধারাবাহিকভাবেই অবনমন হয়েছে বাংলাদেশের।

সালাহ্উদ্দিনের এক যুগে ফুটবলে উন্নতির থেকে অবনতি হয়েছে বেশি। এজন্য দেশের ফুটবলের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে নিয়ে হয়েছে প্রবল সমালোচনা। সেসব নিয়ে কাজী সালাহ্উদ্দিন মাথা ঘামিয়েছেন সামান্যই।

ফুটবলের বেহাল দশার কারণ সাধারণ মানুষ ‘সালাউদ্দিন হাটাও’ এবং ‘বয়কট সালাউদ্দিন’ কর্মসূচিও হাতে নিয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘সালাউদ্দিন হাটাও’ এবং ‘বয়কট সালাউদ্দিন’ পোস্ট করেন। এছাড়া জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে হয়েছে প্রতিবাদ। সেসব মাথায় নিয়ে এবার চতুর্থবার নির্বাচনে সালাহ্উদ্দিন।

পুরোনো ব্যর্থতা ঝেরে সামনে তাকিয়ে সালাহ্উদ্দিন। এজন্য ৩৬ দফার ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সালাহ্উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। এবার বুঝেশুনে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ কিংবা বড় কোনো আশা না দেখিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ ফুটবল দলের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা। জাতীয় ফুটবল দলকে ১৫০-এর কাছাকাছি এবং মহিলা ফুটবল দলকে ৯০’র কাছাকাছি উন্নীত করা।

সালাহ্উদ্দিনের জবাবে ‘ভিশন-২০৩৩’ ব্যানারে ২১ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন আরেক সভাপতি প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক। শফিকুল ইসলাম তৃণমূলের ফুটবলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা ফুটবল ও ঢাকার সবচেয়ে জুনিয়র স্তরের ফুটবল পাইওনিয়ার লিগ থেকে প্রিমিয়ার পর্যন্ত লিগ টুর্নামেন্টকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি জাতীয় দলের জন্যও আছে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা।

সভাপতি পদে দুইজনের লড়াইয়ে উত্তাপ ছড়াক আর নাই ছড়াক, বাকি পদগুলোতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। সালাহ্উদ্দিন-মুর্শিদির সম্মিলিত পরিষদের বিরুদ্ধে ১৯ সদস্যের প্যানেল গঠন করেছে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বিত পরিষদ। সভাপতি পদে কে বসছে তা নিয়ে সমন্বিত পরিষদের আগ্রহ নেই। সভাপতির আশপাশে নিজেদের নীতিনির্ধারক চায় সমন্বিত পরিষদ।

নিজেদের ইশতেহার ঘোষণার দিনে সমন্বয় পরিষদে যোগ দেয়া মহিউদ্দিন আহমেদ মহি বলেন, বাফুফের সভাপতি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নন। সেখানে সব সিদ্ধান্তই নির্বাহী কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত নিয়ে পাস হয়। তাই আমাদের প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী না থাকলেও সমস্যা নেই। আমাদের এই প্রার্থীরা পাস করলে আমাদের সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হবে না।

দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব আগামী চার বছরের জন্য কাদের হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে আজ ভোট দেবেন ১৩৯ জন কাউন্সিলর।

জেনে নিন কোন প্রার্থী কোন প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন…

সম্মিলিত পরিষদ

সভাপতি : কাজী মো. সালাউদ্দিন।

সিনিয়র সহসভাপতি : আবদুস সালাম মুর্শেদী।

সহসভাপতি : কাজী নাবিল আহমেদ, আমিরুল ইসলাম বাবু, ইমরুল হাসান, আতাউর রহমান মানিক।

সদস্য : হারুনুর রশিদ, শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, সত্যজিৎ দাশ রুপু, ইলিয়াছ হোসেন, বিজন বড়ুয়া, অমিত খান শুভ্র, ইকবাল হোসেন, মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম, মো. জাকির হোসেন, মাহফুজা আক্তার কিরণ, আসাদুজ্জামান মিঠু, কামরুল হাসান হিলটন, সৈয়দ রিয়াজুল করিম, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ও নুরুল ইসলাম নুরু।

সমন্বয় পরিষদ

সিনিয়র সহসভাপতি : শেখ মোহাম্মদ আসলাম।

সহসভাপতি: মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান ও এসএম আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ।

সদস্য : আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন, মহিদুর রহমান মিরাজ, মনজুরুল আহসান, আ ন ম আমিনুল হক মামুন, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, আমের খান, হাজী মো. টিপু সুলতান, আরিফ হোসেন মুন, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, সৈয়দ মুস্তাক আলী মুকুল, মিজানুর রহমান, ফজলুর রহমান বাবুল, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ও শাকিল মাহমুদ চৌধুরী।

স্বতন্ত্র প্রার্থী

সভাপতি পদে

বাদল রায় ও শফিকুল ইসলাম মানিক।

সহসভাপতি পদে

তাবিথ আউয়াল

সদস্য পদে

হাজী মো. রফকি, সাখাওয়াত হোসনে ভূঁইয়া শাহীন, সাইফুর রহমান মনি।

You might also like