বামসাস’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননা সোনার বাংলা বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে:জেলা প্রশাসক
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ বাংলাদেশ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। তাই দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশপ্রেম জাগ্রত করার মধ্য দিয়েই আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারব। সমাজের আদর্শবান গুণীদের কর্মগুণ আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।বাংলাদেশ মণিপুরী সাহিত্য সংসদ (বামসাস)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে কথাগুলো বলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।তিনি বলেন, নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত সকল অধিকার, সুযোগ সুবিধা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
গতকাল বিকেলে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, বিশিষ্ট লেখক ও দৈনিক সিলেট মিরর’র সম্পাদক আহমেদ নূর।সন্দ্বীপ কুমার সিংহ বলেন, গুণীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে দেশ-জাতি উন্নতি লাভ করে। তাই গুণীদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানো আমাদের নৈতিক কর্তব্য।সাংবাদিক আহমেদ নূর বলেন, যে সমাজ-দেশ গুণীদের সম্মান দিতে জানে না সে সমাজ-দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। তাই আজকের সংবর্ধিত গুণীদের আদর্শ, জীবনসংগ্রাম সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে। মণিপুরী ভাষা-সাহিত্যের পথচলায় দৈনিক সিলেট মিরর পাশে থাকবে আজীবন।অনুষ্ঠানে দেশ ও সমাজের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সেবা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট এসসি সিনহা, ডা. কাইয়ুম উদ্দিন ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রাণা কুমার সিনহাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মানিত অতিথিবৃন্দ সংবর্ধিত গুণীদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পরিয়ে, ক্রেস্ট-উপহার সামগ্রী তুলে দেন।বামসাসের সভাপতি এ কে শেরাম-এর সভাপতিত্বে ও নীহার শর্মার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নামব্রম শংকর। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশিষ্ট লেখক আবদুস সামাদ ও কবি পুলিন রায়।