বাসযোগ্য বিশ্ব গড়তে প্রাকৃতিক  সম্পদ রক্ষার বিকল্প নেই:বিভাগীয় কমিশনার

চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী

সিলেট থেকেঃ সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামীর বাসযোগ্য বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র রক্ষার বিকল্প নেই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরিবেশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে দেশজুড়ে বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেন।এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ এবং পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণপূর্বক বাসযোগ্য টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে করছে।
৫ জুন সোমবার দুপুরে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখছিলেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেনের সভাপতিত্বে ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূঞায় সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম (বার), পিপিএম, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মজিবর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, নগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন। বক্তব্য রাখেন জেলা আ’লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ পলাশ, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী, ডাঃ ফয়েজ আহমদ, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেট জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদা। শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বিভাগীয় সদর দপ্তর জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আলমগীর হোসাইন ও পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুযোগ চন্দ্র চন্দ।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ভোক্তা সাধারণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে প্লাস্টিক পণ্যের পুনর্ব্যবহার ও এর টেকসই বিকল্প উদ্ভাবন খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনে সরকার প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নানাবিধ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্প-প্রতিষ্ঠান স্থাপনে যাতে প্রতিবেশ ও পরিবেশসম্মত বিধিব্যবস্থা পরিপালন করা হয় সেদিকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আগামী প্রজন্মের বসবাসযোগ্য সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি এক্ষেত্রে প্রত্যেক শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে পরিবেশ সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে, সামিল হই সকলে’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এবং ‘সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ’ শ্লোগানে এ বছরের পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সিলেটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল।অনুষ্ঠানে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, রচনা ও শ্লোগান প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও গাছের চারা বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।

You might also like