বিএনপি-জামায়াতের ৬৭ নেতা-কর্মী কারাগারে
চঞ্চল মাহমুদ ফুলর
সত্যবাণী
সিলেট থেকেঃ কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে সিলেটের জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার মামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ৮মে সোমবার জকিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ৬৭ জন হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশের দায়েরকৃত মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ছিলেন তারা।জকিগঞ্জ আদালতের জিআর বাসুদেবের দেয়া তথ্য মতে জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা জানান, কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন, আব্দুল কাদির মেম্বার, মাসুদ আহমদ, কামরুল ইসলাম, আব্দুল জলিল মেম্বার, কামিল আহমদ, বাবুল আহমদ, বুরহান উদ্দিন, রায়হান আহমদ, জমির উদ্দিন, ইমন আহমদ, মো. আলাউদ্দিন, জালাল উদ্দিন, আলম আহমদ, ছয়েফ উদ্দিন, ফয়ছল মেম্বার, ময়নুল ইসলাম, পারভেজ মোশাররফ, সফি মিয়া, মিনহাজ আহমদ, ছাইফুর রহমান, এমাদ উদ্দিন, রিয়াজ উদ্দিন, কবির আহমদ, হাফিজ নাছির উদ্দিন, আলম মিয়া, আল আমিন, আব্দুল কুদ্দুস, জয়নাল আহমদ, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, মাহতাব আহমদ, সিপার আহমদ, মুরশেদ আলম, মো. মুমিন মিয়া, মনির উদ্দিন, জোবায়ের আহমদ, ছয়ফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম জাকির, সায়াদ আলী, আব্দুল হান্নান হান্না, শাহিদ আহমদ, জাকারিয়া আহমদ জুয়েল, রাবেল আহমদ, মিজান আহমদ, মাহতাব হোসেন, মারুফ আহমদ, খলকু মিয়া, আবু সুফিয়ান, আলীম উদ্দিন, আব্দুল জলিল জলু, মাজহারুল ইসলাম সেলিম, কাওসার আহমদ, নজরুল ইসলাম নমিক, শাহিদ আহমদ, জামাল উদ্দিন ও কামরুল ইসলামসহ ৬৭ জন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর কুমিল্লার একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখাকে কেন্দ্র করে জকিগঞ্জের কালিগঞ্জে পুলিশের উপর আক্রমণ করা হয়েছিলো। তখন আক্রমণকারীরা হামলা চালিয়ে ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ওসি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছুড়ে। সংঘর্ষে পুলিশ-জনতাসহ ৩৫/৪০ জন আহত হন।ঘটনার পরে পুলিশ বাদী হয়ে ৩/৪ শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। কয়েকদিন আগে ১৭৪ জনকে অভিযুক্ত করে আলোচিত এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।এ মামলায় এরআগে বেশ কয়েকজন আসামি পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে। গত বৃহস্পতিবারও ২৯ জন আসামি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যামকান্ত সিনহা তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান। সর্বশেষ সোমবার এ ৬৭ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।