বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা : বাহাউদ্দিন নাছিম
নিউজ ডেস্ক
সত্যবাণী
ঢাকাঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। তারা চায় না, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকুক। তাই সব কাজের বিরোধিতা করে।আজ বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে বরিশাল বিভাগের নেতৃবৃন্দের সাথে আয়োজিত এক সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাহা উদ্দিন নাছিম বলেন, রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ কমিটি থেকে নাম নিয়ে যে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সেটাকে স্বাগত জানাবে আওয়ামী লীগ। কারণ আওয়ামী লীগ মনে করে নির্বাচন কমিশন একটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এটার প্রতি আস্থা রাখতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারদের যেভাবে ঠিক করে দিবেন বাংলাদেশের মানুষ সেভাবেই মেনে নিবে। আওয়ামী লীগও মেনে নেবে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন নির্বাচন। আর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাচন কমিশন। সুতরাং সে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা থাকতে হবে, শ্রদ্ধা থাকতে হবে।
‘ইসিতে ১০জনই আওয়ামী লীগের’ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, কে আওয়ামী লীগের লোক, কে আওয়ামী লীগের না সেটার রায় দেবে জনগণ। তারা বিএনপি ও জামায়াতের বাইরের সবাইকে আওয়ামী লীগ মনে করে।বরিশাল বিভাগের সভার বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজকে সভার মধ্য দিয়ে আমরা অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নকে ঢেলে সাজানো। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করার যে নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করবো।
তিনি বলেন, যেখানে সম্মেলন বাকি আছে সেগুলো সম্পন্ন করবো। ১২ মার্চ সকাল ১০টায় একটি ভার্চুয়াল সভা হবে। আমরা বরিশাল বিভাগ দিয়ে শুরু করবো।জেলা উপজেলা ও ইউনিয়নের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এই সভা হবে।নাছিম জানান, বরিশালের মোট ৪টি জেলার সম্মেলন বাকি আছে। পিরোজপুর ও বরগুনায় ৭ মার্চের আগে জেলায় গিয়ে বর্ধিত সভা করা হবে।এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু ও আনিসুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।