বিচারপতিদের ওপর মামলা আইন বহির্ভূত: প্রধান উপদেষ্টার নির্লিপ্ততা সন্দেহজনক

আদালত প্রাঙ্গনে মারধর বিচার বিভাগের ওপর আঘাতের সামিল

 

হামিদ মোহাম্মদ
বিশেষ প্রতিবেদন, সত্যবাণী

লন্ডন,৩১ আগস্ট: বিচারিপতিদের ওপর মামলা আইন বর্হিভুত বলে মন্তব্য করেছেন একজন আইন বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি জনৈক ইউনুস আকন্দ নামের এক আইনজীবী বিচারিপতিদের ওপর হাইকোর্টে একটি মামলা করায় বিষয়টি নজরে আসে তাদের।

এছাড়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক মন্ত্রী ড. দীপুমনি, হাসানুল হক ইনু, ফারজানা রুপাসহ বিভিন্ন অভিযুক্তদের আদালত প্রাঙ্গনে মারধর ও আঘাত করা বেআইনী হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

জনৈক ইউনুস আকন্দের করা মামলার বিবরণে জানা যায়, আদালত অবমাননার অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ ৭ বিচারপতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২৮ আগস্ট বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলা দায়ের করেন।

অন্য চার বিচারপতি হলেন-আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এম. ইমান আলী, মির্জা হোসেন হায়দার, আবু বকর সিদ্দিকী ও মো. নুরুজ্জামান ননী।

বাদীর অভিযোগ, ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আদালত অবমাননার আইন লঙ্ঘন করে শুনানির সুযোগ না দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দকে শাস্তি দেন। সে সময় তাঁকে তিন মাসের জন্য মামলা পরিচালনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

ঐ আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, বিচারপতিদের ওপর মামলা করা যায় না। তিনি রিভিউ চাইতে পারেন।

দণ্ডবিধি অনুচ্ছেদ 77 Nothing is an offence which is done by a Judge when acting judicially in the exercise of any power which is, or which in good faith he believes to be, given to him by law’

অর্থাত দন্ডবিধি ৭৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত আইন দ্বারা বিচারপতিকে প্রদত্ত কোন ক্ষমতা, বা যা তিনি বিশ্বাস করেন তার প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিচারিকভাবে কাজ করার সময় বিচারকের করা নেয়া সিদ্ধান্ত কোন অপরাধ নয়।

অতএব, অত্র অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এধরণের মামলা করার এখতিয়ার বা সুযোগ নেই। তিনি মন্তব্য করেন, বর্তমানে দেশে যে ধরনের অরাজকতা চলছে এটা তার প্রমাণ। এছাড়া বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী  মানিক, সাবেক মন্ত্রী ড. দীপুমনি, হাসানুল হক, ফারজানা রুপাসহ বিভিন্ন অভিযুক্তদের আদালত প্রাঙ্গনে মারধর ও আঘাত করা বেআইনী হয়েছে। তিনি মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টার নির্লিপ্ততা সন্দেহজনক।  

You might also like